১৫ বছরে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে তিন গুণ
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় প্লাস্টিকের ব্যবহার সর্বোচ্চ।
২০০৫ সালে দেশে এক বছরে গড়ে মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৩.০১ কেজি এবং ঢাকায় ৯.২ কেজি। ২০১৪ সালে তা যথাক্রমে ৩.৫ কেজি ও ১৭.২ কেজিতে এবং ২০২০ সালে তা ৯ কেজি ও ২২.২৫ কেজিতে এসে দাঁড়ায়।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে 'টুওয়ার্ডস আ মাল্টি-সেক্টোরাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর সাস্টেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পর্কিত নানা তথ্য উঠে আসে।
তিনি বলেন, "২০৩০ সাল নাগাদ প্লাস্টিক বর্জ্য ৩০ ভাগ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। ২০০২ সাল নাগাদ ব্যবহৃত প্লাস্টিকের অর্ধেক পুনঃব্যবহারযোগ্য করে তোলা আমাদের লক্ষ্য।"
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
মন্ত্রী বলেন, "আমরা সচেতন নই। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলি। আমাদের সচেতন হতে হবে। বিদেশে গেলে আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলি কিন্তু দেশে এসে কেন যেখানে সেখানে ফেলি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে। এসময় তিনি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।"