পদত্যাগ করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার মাহাথির দুই লাইনের এক বিবৃতিতে বলেন, কুয়ালালামপুর সময় বেলা ১ টায় দেশটির বাদশাকে তিনি তার পদত্যাগ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
রয়টার্স আরও জানায়, ক্ষমতাসীন সরকার জোট পাকাতান হরপানের থেকেও সরে দাঁড়িয়েছে মাহাথিরের দল প্রবিমি বের্সাতু।
রোববার রাতে তার দল নতুন সরকার গঠন করার পরিকল্পনা করছে এবং এই দলে তার অভিষিক্ত উত্তরাধিকারী আনোয়ার ইব্রাহিমকে বাদ দেওয়া হবে- মাহাথিরের এমন সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হওয়ার পরে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাথির (৯৪) আর আনোয়ারের (৭২) মধ্যে এই লড়াই দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা রাজনৈতিক কাহিনীর সর্বশেষতম অধ্যায়।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ঐক্যবদ্ধ হন আনোয়ার এবং মাহাথির। ছয় দশক ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি শাসন করছিল ইউএমএনও-অধ্যুষিত বরিশান ন্যাশনাল জোট। নির্বাচনে এই জোটকে হারিয়ে দেয় আনোয়ার-মাহাথিরের জোট। জয়ের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
তবে তাদের পাকাতান হরপান জোটে দুজনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছিল। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানান আনোয়ারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য মাহাথির একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণে প্রতিশ্রুতি রাখতে দেরি করছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেননি এমন অভিযোগের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন মাহাথির মোহাম্মদ।
অতঃপর জোটের রাজনৈতিক ভাগ্য সর্বশেষ পাঁচটি উপনির্বাচনে পরাজয়ের সাথে ডুবে গেছে।
রোববার রাতে বৈঠকে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অর্থনীতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আজমিন আলীর। ফলে তার সঙ্গেও আনোয়ারের বিচ্ছেদ ঘটে।
১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মাহাথিরের ডেপুটি ছিলেন আনোয়ার। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তাকে অর্থনৈতিক সঙ্কট সামাল দেওয়ার বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশের পরে তাকে বরখাস্ত করেন মাহাথির।
এরপরেই আনোয়ারকে তদন্তের জন্য কারাগারে বন্দিও করা হয়েছিল।