র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দেওয়া চিঠিটি ব্যক্তিগত: ইইউ রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)- এর উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করতে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্টেফানেক ইইউকে যে চিঠি দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং ইইউ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত 'মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, "এটাকে আমরা ব্যক্তিগত মতামত বলতে পারি। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেকেরই যার যার নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।"
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করে গত ২০ জানুয়ারি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলের কাছে চিঠি দেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্টেফানেক।
চিঠিতে তিনি র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনসহ বেশকিছু অভিযোগের কথা উল্লেখ করেন।
এ পরিস্থিতিকে 'অত্যন্ত গুরুতর' উল্লেখ করে ইভান স্টেফানেক মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ সরকার চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং পুলিশের উপর নির্ভরশীল।
সাংবাদিকদের ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, "বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বেশ আগ্রহী এবং সেজন্য দেশে চলমান ইস্যুগুলো তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।"
গত ১০ ডিসেম্বর ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যাদের মধ্যে পুলিশের বর্তমান ইনস্পেকটর জেনারেল ও র্যাবের সাবেক ডিজি বেনজীর আহমেদের নামও রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সহায়-সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরপরই ১২টি মানবাধিকার সংস্থা শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাব সদস্যদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। এই মর্মে র্যাবের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার জন্য গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের কাছেও চিঠি দেয় তারা।