বিরতির সময় কমাতে তামিমকে নির্বাচকদের অনুরোধ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যেন নিজের করে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। মিনিস্টার ঢাকার অভিজ্ঞ এই ওপেনার মুড়ি-মুরকির মতো রান করে যাচ্ছেন। ছয় ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিসহ ৫২.৪০ গড়ে ২৬২ রান করেছেন তামিম, যা এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ।
দারুণ ফর্মে থাকা অভিজ্ঞ এই ওপেনারই আগামী ছয় মাস আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবেন না, এটা যেন মানতে পারছেন না বিসিবির নির্বাচকরা। এ কারণে ইতোমধ্যে তামিমকে বিরতির মেয়াদ কমানোর অনুরোধ করা হয়েছে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের সেরা সময়কে জাতীয় দলে কাজে লাগাতে চান তারা।
মিনিস্টার ঢাকার হয়ে বিপিএল খেলতে এসে চট্টগ্রামে তামিম ঘোষণা দেন, আগামী ছয় মাস আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি নিয়ে ভাববেন না তিনি। কিন্তু তার ব্যাটে রানের ফুলঝুরি দেখে নির্বাচকরা তামিমকে দ্রুততার সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে ফেরানোর চিন্তা-ভাবনা করছেন। এমনই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
দল গোছানোর দায়িত্বে থাকা সাবেক এই অধিনায়কের মতে, তামিম এখন সেরা ফর্মে আছেন। আর সেরা ফর্মে থাকা ক্রিকেটারকেই তো দলে চান তারা। বিরতি না নিয়ে তামিমকে দলে চাইতেন জানিয়ে মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'অবশ্যই দলে চাইতাম। সেরা পারফর্মারকে আপনি সব সময় দলে পেতে চাইবেন। তার সেরা সময়ে সেরা খেলাটাই তো চাইব, তাই না?'
তামিমের বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন মিনহাজুল। তবে জাতীয় দলের কথা চিন্তা করে তাকে তাড়াতাড়ি ফেরানোর চেষ্টায় নির্বাচকরা। মিনহাজুল বলেন, 'এটা তামিমের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সে চিন্তা ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটাকেও সম্মান জানাতে হবে। তবে তাকেও আমরা অনুরোধ করছি। চেষ্টা থাকবে যেন তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা যায়।'
ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতে একটি ফরম্যাট ছাড়তে চান, গত বছরের এপ্রিলে জানিয়েছিলেন তামিম। বাঁহাতি এই ওপেনার সে সময় ফরম্যাটের কথা না জানালেও ধারণা করা হয়েছিল, টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলবেন তিনি। পরবর্তীতে এই ফরম্যাট থেকে নিজেকে দীর্ঘ সময় সরিয়ে রাখায় আলোচনা বাড়ে। গত ২২ জানুয়ারি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, টি-টোয়েন্টি খেলতে চান না তামিম।
এর কদিনের মাথায় চট্টগ্রামে বিপিএল খেলতে এসে টি-টোয়েন্টি থেকে বিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তামিম। এই ঘোষণার পরদিনই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান তামিম, খেলেন ১১১ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। ৬১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা তামিম শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন। পরের ম্যাচেও হেসেছে তার ব্যাট, মঙ্গলবার খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস।