ফ্লেচারের ব্যাটে সিলেটকে গুঁড়িয়ে দিল মুশফিকের খুলনা
চট্টগ্রামের হতাশা ঢাকায় বয়ে আনেনি খুলনা টাইগার্স। ঢাকা ফিরেই দাপুটে ক্রিকেট খেললো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দলটি। ফেরার পর্বের প্রথম ম্যাচে সিলেট সাইনরার্জকে উড়িয়ে দিল মুশফিকুর রহিমের দল। আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাটিং ঝড়ে সিলেটের বিপক্ষের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে খুলনা।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দলকে ৯ উইকেট হারিয়েছে খুলনা। ছয় ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে আছে খুলনা টাইগার্স। পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পাওয়া সিলেট পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি সিলেট সানরাইজার্স। খালেদ আহমেদ, নাবিল সামাদদের অসাধারণ বোলিংয়ে ৫ উইকেটে ১৪২ রান তোলে তারা। জবাবে ম্যাচসেরা আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ১৪.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় খুলনা।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন খুলনার দুই ওপেনার ফ্লেচার ও সৌম্য। ৯৯ রানের জুটি গড়েন তারা। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ সৌম্য ৩১ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করে আউট হন। তবে ফ্লেচার ঝড় চলে শেষ পর্যন্ত। থিসারা পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন চলতি বিপিএলে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ফ্লেচার।
ক্যারিবীয় ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৭ বলে ৫টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭১ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন। থিসারা ৯ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। খুলনার যাওয়া একমাত্র উইকেটটি নেন সিলেটের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। এই ম্যাচে সিলেটের হয়ে বিপিএল অভিষেক হয় জুবায়ের হোসেন লিখনের। আট বছর আগে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া এই লেগ স্পিনার ৩ ওভারে ২০ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৪ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও এনামুল হক বিজয়কে হারায় সিলেট। কলিন ইনগ্রামও দ্রুত ফিরলে চাপ বাড়ে সিলেটের। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলের রান বাড়িয়ে নেন। মোসাদ্দেক ৩০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ রানে আউট হন।
মাঝারি পূঁজি গড়তে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন মোহাম্মদ মিঠুন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫১ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭২ রান করেন। মোসাদ্দেক ও মিঠুন ছাড়া সিলেটের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। খুলনার পেসার খালেদ আহমেদ ২টি উইকেট নেন। নাবিল সামাদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট নেন।