বেইজিং থেকে নিউইয়র্ক মাত্র ১ ঘণ্টায় পৌঁছাবে চীনের নতুন সুপারসনিক বিমান
চীনের মহাকাশ সংস্থা স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন উচ্চগতির বিমান ও ডানাযুক্ত রকেটের এমন এক সংমিশ্রণ তৈরি করছে, যার মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় পৌঁছানো যাবে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে।
স্পেস ডট কমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাকাশ পর্যটনের জন্যই মূলত ডিজাইন করা হয়েছে বিমানটি। তবে সুপারসনিক বিজনেস জেট হিসেবেও এটি ব্যবহার করা হবে।
সংস্থাটি বলছে, এই বিমানে করে বেইজিং থেকে নিউইয়র্কে যেতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘন্টা।
স্পেস ট্রান্সপোর্টেশনের ওয়েবসাইটের একটি সিজিআই (কম্পিউটার-জেনারেটেড ইমেজারি) উপস্থাপনায় দেখা যায়, যাত্রীরা এমন একটি প্লেনে চড়ছেন, যেটি দুটি রকেট বুস্টারসহ একটি ডানার সঙ্গে সংযুক্ত। বিমানটি উড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডানা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং উপকূলীয় স্থান দিয়ে উড়ে যায়। এরপর বিমানটি তার গন্তব্যের দিকে যেতে শুরু করেল ডানা এবং বুস্টারগুলো লঞ্চ প্যাডে ফিরে আসে।
সংস্থাটির একজন মুখপাত্র গণ্যমাধ্যমকে বলেছেন, স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটের তুলনায় ডানাযুক্ত রকেটটি কম খরচে তৈরি ও পরিচালনা করা যাবে; সেইসঙ্গে এটি প্রচলিত বিমানগুলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
২০১৭ সালে স্পেসএক্স 'আর্থ টু আর্থ' নামে অনুরূপ একটি বিমানের ধারণা দিয়েছিল। স্টারশিপ রকেট ব্যবহার করে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাত্রী পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল বিমানটি। তবে পরবর্তীতে ওই ডিজাইনের আর কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি স্পেসএক্স।
স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন জানিয়েছে, গত আগস্টে সুপারসনিক স্পেস বিমানটির জন্য তাদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪৬.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংস্থাটির দাবি, বিমানটি প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজার ৬০০ মাইল ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে।
স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন আরও জানিয়েছে ২০২৪ সালে তারা বিমানটির প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করবে। তবে তার আগে, ২০২৩ সালের মধ্যেই তারা এর স্থল পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এবং পরীক্ষাগুলো সফলভাবে হলে, ২০২৫ সালে সংস্থাটি 'ক্রুড টেস্ট ফ্লাইট' বা যাত্রী নিয়ে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
- সূত্র: রব রিপোর্ট