এক মিনিটে পড়ুন: বাবল কেন রঙিন হয়?
বাবল আসলে রঙহীন। কিন্তু এদের অনবদ্য কাঠামো এবং আলোর স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুবাদে, বাবলের মধ্যে যেন দৃশ্যমান হয় গোটা রামধনুই।
কীভাবে সেটি হয়, তা বোঝার জন্য আপনাকে আগে জানতে হবে, বাবল কী।
যে বাহ্যিক ফিল্মটি ভেতরে বাতাস বন্দি করে রাখে, সেটি তৈরি হয় পানির সরু একটি পাত দিয়ে। পানির ওই পাতটি আবার স্যান্ডউইচ হয়ে থাকে দুইটি একইরকম সরু সাবান অণুর স্তরের ভেতর।
আলো কীভাবে এই স্তরগুলোর সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, তা দিয়ে নির্ধারিত হয় যে আমরা কোন ধরনের রঙ দেখছি।
আলো তৈরি হয় আলোক তরঙ্গের মাধ্যমে, যা সেকেন্ডে কয়েকবার কম্পিত হয়। সেকেন্ডে যতবার একটি তরঙ্গ কম্পিত হয়, তাকে বলে ফ্রিকোয়েন্সি বা তরঙ্গদৈর্ঘ্য। একেক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রঙ একেক রকম।
যখন আলো এসে একটি বাবলে আঘাত করে, এই স্বতন্ত্র ও ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যগুলো আমাদের চোখে প্রতিফলিত হয়, যার কারণে আমরা তাদেরকে আলাদা আলাদা রঙ হিসেবে দেখি।
ঠিক এই একই কারণেই, পানির উপর ভাসমান তেলকে বহুরঙবিশিষ্ট মনে হয়, এবং সিডি ও ডিভিডি পৃষ্ঠেও রেইনবো প্যাটার্নের প্রতিফলন দেখা যায়।
- সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস