আমাদের কর্পোরেটদের যত শখ...
কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে থাকা মানেই মাথার উপরে গুরুদায়িত্ব ও কর্তব্যের চাপ। উচ্চপদে আসীন কর্পোরেট কার্যনির্বাহীরা যে সবসময়ই ব্যস্ত থাকেন, সেকথা আমাদের সবারই জানা। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই এবং তাদের কোনো শখ বা ইচ্ছা নেই!
কর্মজীবনের বাইরেও যদি কোনো দারুণ শখ থাকে, তা আমাদের মধ্যে আরও দক্ষতা এবং প্যাশন তৈরি করে। বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহীদের মধ্যে যাদের বিশেষ কোনো শখ থাকে, তারা অন্যদের চাইতে বেশি হাসিখুশি থাকেন এবং কাজের ব্যস্ততাকে তখন আর চাপ মনে হয়না। শুধু তাই নয়, শখ পূরণের মাধ্যমে যে দক্ষতা অর্জন করা যায় তা পেশাদারি জীবনেও কাজে লাগে।
আমরা দেশের একাধিক কর্পোরেট নেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তাদের শখ বা অবসর কাটানোর উপায় সম্পর্কে। তারা আমাদের জানিয়েছেন কর্মক্ষেত্রের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা; জানিয়েছেন কিভাবে এসব শখ তাদের আরও কার্যক্ষম করে তুলেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তাদের মতে, এসব শখ তাদেরকে সিনিয়র পদে দায়িত্ব পালনের চাপ থেকে প্রশান্তি দেয় এবং কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কর্পোরেট লীডারদের নিজেদের ভাষায়ই জানা যাক তাদের শখের দুনিয়ার কথা।
তায়কোয়ান্দো ও ভ্রমণে নিজেকে খুঁজে পান ইমরান হাসান
ইমরান হাসান
প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
কর্মক্ষেত্রের বাইরেও আমার অনেক শখ এবং আগ্রহের জায়গা আছে। এর মধ্যে ভ্রমণ, তায়কোয়ান্দো, ওয়েট-লিফটিং (ভারোত্তলন), সিনেমা দেখা এবং বই পড়ার কথা বিশেষভাবে বলতেই হয়।
আমার শারীরিক সক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে এমন কোনো একটা চর্চা না করতে পারলে আমার দিনটাই অসম্পূর্ণ মনে হয়। সে কারণেই তায়কোয়ান্দো শিখছি এবং তায়কোয়ান্দো ক্লাবের উত্তেজনাকর সেশনগুলোও আমি খুব উপভোগ করি।
এর বাইরে, আমার মেয়ের সঙ্গে বসে সিনেমা দেখাও আমার অবসর যাপনের অন্যতম উপায়। প্রতি সপ্তাহান্তে আমরা একসাথে বসে সিনেমা দেখি। ভ্রমণ করতেও আমার খুব ভালো লাগে; অনেকবার আমি সলো ট্রাভেলে (একা ভ্রমণ) গিয়েছি।
আমি এটা জোর দিয়ে বিশ্বাস করি যে, শখ একজন মানুষকে আরও উৎপাদনশীল করে তোলে এবং সবারই কিছু না কিছু শখ থাকা উচিত। তায়কোয়ান্দো চর্চা আমাকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে এবং হাই-এনার্জি লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে।
নিজেকে কার্যক্ষম করে তোলার সাথে দুশ্চিন্তা কম থাকা, হাই এনার্জি লেভেল এবং নিত্যনতুন দক্ষতা অর্জনের সম্পর্ক রয়েছে। কোনো শখ থাকার উপকার হলো এটা আপনার দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে।
মাঝেমাঝে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর আবার তায়কোয়ান্দো চর্চা করাটা একটু বেশিই চাপ মনে হয়। কিন্তু একবার যখন আমি ক্লাসে ঢুকে যাই এবং সেশন শুরু হয়, তখন যেন একেবারে চার্জড আপ হয়ে বের হই। ওই মুহূর্তে মনে হয় পূর্ণ এনার্জি নিয়ে আমার দিন শুরু হলো মাত্র।
অন্যদিকে, গৎবাঁধা জীবন থেকে একটু বিরতি নিতে চাইলে ভ্রমণ করি আমি। এটা অনেকটা নিজেকে রিস্টার্ট দেওয়ার মতো। আমার সবগুলো শখই আমাকে আগামীকাল কী হবে সেই দুশ্চিন্তা না করে বরং বর্তমানের উপর মনোযোগ দিতে সাহায্য করে।
সবগুলো শখ থেকেই কোনো না কোনো উপকার পাই। তায়েকোয়ান্দো এবং নিয়মিত ব্যয়াম আমাকে লক্ষ্যস্থির থাকতে, শৃঙ্খলা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শিখিয়েছে।
ভ্রমণ আমার দূরদর্শিতা বাড়াতে সাহায্য করে যা বই পড়ে অর্জন করা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই পড়ার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা কাজের বাইরেও জ্ঞান অর্জন করা যায়।
শিল্প-সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ততা এক ভিন্ন মানুষে পরিণত করেছে রাজীব সামদানিকে
রাজীব সামদানি
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গোল্ডেন হার্ভেস্ট গ্রুপ
কাজের বাইরে আমার সবচেয়ে বড় শখ হলো শিল্পকর্ম সংগ্রহ করা। সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন মূলত আমার একটা প্যাশনের জায়গা থেকে বানানো। আমরা এখনো পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি মডার্ন এবং কনটেম্পোরারি শিল্পকর্ম সংগ্রহ করেছি।
শিল্প-সংস্কৃতির সাথে এই সম্পৃক্ততা আমাকে আগের চাইতে এক ভিন্ন মানুষে পরিণত করেছে। সৃজনশীল মানুষদের সাথে মেলামেশা ও কাজ করাও একটা ইতিবাচক দিক। এটা আমাকে একটা অন্যরকম আনন্দ দেয়, প্রতিদিনই আমি এখান থেকে নতুন নতুন জিনিস শিখি।
আমার প্যাশনই আমাকে কাজের চাপ দূরে রেখে মুক্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। আমার স্ত্রীরও আমার মতো একই শখ।
আমাদের জন্য এটা একটা শখের চাইতেও বেশি কিছু। আপনারা হয়তো ঢাকা আর্ট সামিটের কথা শুনেছেন। আমরা বাংলাদেশি শিল্প এবং শিল্পীদের কথা প্রচার করি। এটা একটা অন্যরকম অর্জন। আমাদের ইভেন্টের মাধ্যমে আমরা বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে তুলে ধরছি।
ঢাকা আর্ট সামিটের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে প্রচার করা। এটা আমাদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা!
সারা বিশ্বের মানুষ এখন বাংলাদেশি শিল্প সম্পর্কে জানে। আন্তর্জাতিক জাদুঘরগুলোও এখন বাংলাদেশি শিল্পকর্ম সম্পর্কে জানতে পারছে।
এছাড়াও, আমাদের প্রতিভাবান শিল্পীরা এখন কদর পাচ্ছে। এটা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ আনন্দ দেয় যে আমার সামান্য অবদানের কারণে পরিবর্তন আসছে।
শিল্পকর্ম সংগ্রহ ও আর্ট সামিটের সাথে যুক্ত থাকার কারণে আমার নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয় এবং তাদের কাছ থেকে অনেক মজার বিষয় জানতে পারি।
আমার জগতটা এখন দুই ভাগে বিভক্ত: আমার প্যাশন এবং আমার কাজ। দুটি মিলিয়েই ভারসাম্যতা বজায় থাকে। যখন আমি কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসি তখন নিজেকে প্রাণশক্তিতে ভরপুর অনুভব হয়।
ট্রেকিং ও সাইক্লিংয়ে মনের শান্তি খোঁজেন শাম্মী আখতার
শাম্মী আখতার
হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ইউনিলিভার
ব্যক্তিগতভাবে আমি বেশ সক্রিয় একজন মানুষ। শারীরিক সুস্থতা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি একজন সনদপ্রাপ্ত ক্লাইম্বার (পর্বতারোহী) এবং লং-ডিসটেন্স সাইক্লিস্ট। আমি ভারতের কৃষ্ণনগর মাউন্টেইনিয়ারিং ক্লাব থেকে আমার ক্লাইম্বিং সনদ লাভ করেছি। প্রতি বছরই আমি একটা করে অভিযানে যাওয়ার চেষ্টা করি।
আমার অ্যাডভেঞ্চারগুলোর মধ্যে আছে হিমালয় পর্বত ট্রেকিং, মাদাগাস্কারে ৮০০ কিলোমিটার সাইক্লিং ইত্যাদি। সেই সাথে আমি কাশ্মীরের নুন এবং হিমাচলের চেঙ্গা বেঙ্গা পর্বতও জয় করেছি।
এর জন্য আমি যা করি তা হচ্ছে, দুই থেকে তিন সপ্তাহের ছুটি নিয়ে নেই। এই সময়ের মধ্যে ট্রেকিংয়ে বা সাইক্লিং ট্রিপে যাই। আমি একটা নির্দিষ্ট কোনো ক্লাব বা সংগঠনের সাথে যাই। আমার বেশিরভাগ অভিযানই হয়েছে ভারতে।
এসব অভিযানের মাধ্যমে আমি নানা সংস্কৃতির মানুষের সাথে পরিচিত হতে পারি। কারণ এসব দলে নানা ভাষা, সংস্কৃতির, অঞ্চলের মানুষ থাকে।
যেহেতু এগুলো সবই দলগত কাজ, তাই আমার সিদ্ধান্ত, দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাকি অভিযানকারীদের উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে আমাকে একজন দায়িত্ববোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে আচরণ করতে হয়। আমার এই আচরণ আমাদের টিমকে এর লক্ষ্য ও গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এ অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম থেকে একেবারে আলাদা।
দ্বিতীয়ত, যখন আমরা প্রতিদিন একই কাজ করতে থাকি , তখন কোনোকিছু গভীরভাবে চিন্তার বা আত্মদর্শনের সুযোগ থাকে না। শখ মানেই যে খুব রোমাঞ্চকর কিছু হতে হবে তা নয়। কারণ বই পড়া বা বাগান করার মাধ্যমেও একই উদ্দেশ্য পূরণ হয়- আত্মা ও মনকে সংযুক্ত করা।
একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর আপনার মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিতে হবে। এতে করে আপনার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা আসবে এবং আরও লক্ষ্যস্থির হতে সাহায্য করবে।
এটি আপনাকে আরও বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে শেখাবে, কারণ মানুষের চিন্তা সাধারণত সংকীর্ণ হয়। গতানুগতিকতার বাইরে চিন্তা করতে হলে আপনাকে একটা অচেনা পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে নিয়ে আসতে হবে। তখনই আপনি নিজের বিচারবুদ্ধি, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন।
কোনো প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ে কাজ করা মানে শুধু সিদ্ধান্ত নিলাম আর বাস্তবায়ন করলাম, তা নয়; বরং এখানে আমাদের কৌশলগত দক্ষতা ও বিশ্লেষণধর্মী চিন্তার দরকার হয়। তাই কাজের মধ্যে বিরতি নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আর শখের কাজে সময় ব্যয় করার মাধ্যমেই এই বিরতিকে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা সম্ভব। হতে পারে এটিই আপনাকে আপনার সংগঠনকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিবে।
শখ পূরণের মাধ্যমে ভিন্নধর্মী চিন্তা করতে শেখেন শোভন ইসলাম
শোভন ইসলাম
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্প্যারো গ্রুপ
স্প্যারো গ্রুপে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে আমি ২৪ বছর এইচপিতে কাজ করেছি। যেহেতু ওই চাকরিক্ষেত্রটি বেশ চাহিদামূলক ছিল, আমার ব্যস্ততাও ছিল অনেক বেশি। তাই তখন তেমন কোনো শখ গড়ে ওঠেনি আমার, সারাক্ষণ ইন্টারনেট জগতেই থাকতে হতো। সত্যি কথা বলতে, তখন কাজই ছিল আমার পেশা ও নেশা।
তবে কাজের সূত্রে আমাকে প্রচুর ভ্রমণ করতে হতো। ভ্রমণের সময় পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে করতে শপিংয়ের অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়।
তাই বলা যায়, আমার অবসর সময় কাটে ভ্রমণ এবং কেনাকাটার মাধ্যমে। শপিং আমাকে আর্থিক উন্নতি করতেও সাহায্য করেছে।
যখন আমি বাংলাদেশে ফিরে আসি এবং স্প্যারো-তে যোগ দেই, তখন দেখলাম যে আমরা পুরুষদের পোশাক বেশি উৎপাদন করছি, নারীদের নয়।
প্রতিষ্ঠানে আমার যে ভূমিকা, নারীদের পোশাককে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবসায়ে বৈচিত্র্য নিয়ে আসার প্রয়োজন বোধ করি আমি। এখন আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার-এর নারীদের পোশাক উৎপাদন করি।
কোনো ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রথমেই দরকার ভিন্নধর্মী চিন্তা। আপনি যদি প্রতিদিনই একই কাজ করতে থাকেন তাহলে একঘেয়েমি চলে আসবে। শখ আমাদের মন সজীব রাখে এবং ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে শেখায়।
ব্যয়াম ও ভ্রমণের মাধ্যমে নিজেকে সজীব রাখেন ফারহানা হাসান
ফারহানা হাসান
গ্লোবাল লিড ফর অ্যালায়েন্স পার্টনারশিপ, ডেল্টা এয়ারলাইন্স
আমি ভ্রমণ করতে, পড়তে এবং অনুপ্রেরণাদায়ক মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করতে ভালোবাসি। এছাড়াও, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে এবং ওয়ার্ক আউট করতেও ভালো লাগে।
ব্যায়াম আমার জন্য অবশ্য কর্তব্যের মতো একটা ব্যাপার। যত কাজের চাপই থাক না কেন, এটা আমি কখনো বাদ দেই না। এটা আমাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও লক্ষ্যস্থির থাকতে সাহায্য করে; সেই সাথে শারীরিকভাবে ফিট ও সুন্দর থাকার বিষয়টা তো আছেই।
এছাড়া, নতুন নতুন জায়গায় ভ্রমণ, বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়া, গান এবং সব মিলিয়ে ভিন্ন এক জীবন আমাকে জীববৈচিত্র্য বুঝতে শেখায়।
আমার শখগুলো আমাকে কাজ ও অবসর সময়ের মাঝে স্পষ্ট বিভাজন রাখতে শেখায়। যেহেতু কাজই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই 'ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স' টার্মকে আমি অতটা পছন্দ করি না।
আমি শখ পূরণ করতে যাই, যেন ফিরে এসে পুরোপুরি প্রাণশক্তি নিয়ে কাজে বসতে পারি। এসব শখ ছাড়া আমি মেশিনে পরিণত হতাম, মানুষ হিসেবে আমার মধ্যে কোনো আনন্দ ও মূল্যবোধ থাকতো না। শখ আমাদের আত্মাকে জাগ্রত করে এবং দুশ্চিন্তা কমায়। আমরা সারা জীবন কিছু না কিছু শেখার মধ্যে থাকি, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেওয়ার মাধ্যমে শেখার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায় না।