সমুদ্রবন্দর পরিচালনা-সরাসরি শিপিং লাইন- আমিরাতের সাথে আলোচনায় বাংলাদেশ: মোমেন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দক্ষতাকে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর পরিচালনায় কাজে লাগাতে বাংলাদেশ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার দিনের সরকারি সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
আবুধাবিতে বাংলাদেশি দূতাবাসে এমিরেটাস নিউজ এজেন্সির সাথে এক সাক্ষাৎকারে মোমেন বলেন, "আমরা সবসময় দক্ষিণ এশিয়ায় ও বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে আরও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করি, কারণ সম্পৃক্ততা মানেই উৎপাদনশীলতা"।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে জাহাজ চলাচল সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কার বন্দর দিয়ে হয়, এতে সময় লাগে প্রায় ৪০-৪২ দিন। ড. মোমেন বলেন, একটি সরাসরি শিপিং লাইন হলে এ সময় দুই-তৃতীয়াংশ কমে প্রায় ১৪ দিনে নেমে আসবে। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে,।
২০২১ সালে দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয় ১.৮ বিলিয়ন ডলারের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি সরাসরি শিপিং লাইন থাকলে এ পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়বে।
"বাণিজ্য ভারসাম্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুকূলে ছিল, কারণ দেশটি থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি ছিল ১.৩ বিলিয়ন ডলারের। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার,"
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যের অতিরিক্ত উৎপাদন, বিশেষ করে চাল ও শাকসবজি রপ্তানি শুরু করেছে। সরাসরি শিপিং লাইনের মাধ্যমে আমিরাত রপ্তানি গন্তব্য হলে উভয় দেশ উপকৃত হবে।
দেশটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করেছে ও বাংলাদেশ এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "বন্দর ব্যবস্থাপনায় সংযুক্ত আরব আমিরাত খুবই ভালো। আমাদের প্রচুর বন্দর ও দীর্ঘ উপকূলরেখা আছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারে, আমরা এ নিয়ে কাজ করছি"।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করতে চায়।
"একটি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে," বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে এ কে আব্দুল মোমেন জানান, মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ওষুধ শিল্পের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
"আমাদের দুটি প্রধান উৎস আছে, পানি এবং মানবসম্পদ। সে দেশের মানুষ ব্যবসায় ভালো। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ও আমাদের সম্পদকে কাজে লাগাতে তাদের স্বাগত জানাই," বলেন ড. মোমেন।