ইউক্রেন সংকট: ‘স্বাধীনতা’ ঘোষণা হতেই দোনেৎস্কের রাস্তায় সামরিক ট্যাঙ্ক!
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলোর বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনের দুই বিদ্রোহী অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। গতকালই ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এ ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দোনেৎস্কের সড়কে দেখা মিলল সামরিক ট্যাঙ্কের।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিকের দাবি, তিনি অন্তত ৭টি ট্যাঙ্ক দেখেছেন দোনেৎস্কের রাস্তায়। যদিও এই ট্যাঙ্ক কোন দেশের বা কোন পক্ষের, তা জানা যায়নি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্যাঙ্কগুলোর গায়ে কোনো লোগো ছিলনা যা দেখে বোঝা যেতে পারে এগুলো ইউক্রেনের সেনাদের নাকি রাশিয়ার; নাকি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।
এদিকে, গতকালই ক্রেমলিনে বসে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের 'বিদ্রোহী' নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের অভিযোগ, পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলগুলোতে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে কিয়েভকে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে বলেন তিনি। পরোক্ষভাবে তিনি যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দেন।
এদিকে রোববার বেলারুশ জানায়, রাশিয়া সেখানে তাদের সামরিক মহড়ার মেয়াদ বাড়াচ্ছে। এরপরই স্যাটেলাইটে ধারণকৃত চিত্রে দেখা যায়, ইউক্রেন সীমান্তে আরও বেশি সংখ্যক সৈন্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জড় করেছে রাশিয়া।
এরইমধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাসের থেকে বিস্ফোরণের খবর আসে। রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের দাবি, ইউক্রেনের সেনারা তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। যদিও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, এটি রাশিয়ার মিথ্যা প্রচার। যুদ্ধের পক্ষে 'যুক্তি' সাজানোর প্রেক্ষাপট হিসেবে এই ঘটনাগুলোকে সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তারা। আর এরই মাঝে গতকাল দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
- সূত্র: দ্য হিন্দুস্তান টাইমস