বঙ্গোপসাগরে ক্রুজ শিপ বে ওয়ানের ইঞ্জিনে আগুন
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ক্রুজশিপ 'বে ওয়ান' এর ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম থেকে ১৭ নটিক্যাল মাইল দূরে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে কুতুবদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে জাহাজে অবস্থান করা প্রায় এক হাজার পর্যটক।
তবে শুক্রবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বন্দরের টাগ বোট কান্ডারী-১০ ঘটনাস্থলে গিয়ে বে ওয়ানকে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেছে।
জাহাজে অবস্থানরত মানবাধিকার কর্মী আমিনুল হক বাবু টিবিএসকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় পতেঙ্গা থেকে রওনা দেয় বে ওয়ান। রাত ১২টা ২০ মিনিটে জাহাজের ইঞ্জিন রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জাহাজে থাকা সকল পর্যটকের মাঝে। জীবন হারানোর শঙ্কায় কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহাজে অবস্থানরত প্রায় ১ হাজার পর্যটক।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১৭ নটিক্যাল মাইল দূরে কুতুবদিয়ার কাছাকাছি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে এলে রাত পৌনে একটার দিকে উপকূলের কাছাকছি নোঙ্গর করে জাহাজটি। সচল হওয়ার পর জাহাজ কর্তৃপক্ষ সেন্টমার্টিন যেতে চেয়েছিলো। তবে যাত্রীদের আপত্তির মুখে সিদ্ধান্ত বদল করে চট্টগ্রাম ফিরে আসার সিন্ধান্ত নেয়। চট্টগ্রাম বন্দরের টাগবোট কান্ডারী-১০ ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টায় জাহজটিকে নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা দিয়েছে। এই ঘটনায় জাহাজের কয়েকজন ক্রু আহত হয়েছে।
বে ওয়ান জাহাজের ইঞ্জিনে আগুন লাগার পর আতঙ্কিত যাত্রীদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে দেওয়া হয়। বে ওয়ান জাহাজের ইঞ্জিনে আগুন লাগার পর আতঙ্কিত যাত্রীদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে দেওয়া হয়।
জাহাজটির রিজারভেশন শাখায় কর্মরত মাহমুদ হাসান জানান, 'চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়ার দু'ঘণ্টা পর জাহাজের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়। সেকারণে জাহাজটি কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙর করা করা হয়।'
চট্টগ্রামের 'কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স লিমিটেড' জাপান থেকে বিলাসবহুল এই বিদেশি ক্রুজশিপ 'বে ওয়ান' কেনে৷ গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পতেঙ্গা থেকে সেন্টমার্টিনে প্রায় দুই হাজার যাত্রী নিয়ে যাতায়াত শুরু করে জাহাজটি। সপ্তাহের প্রত্যেক বৃহস্পতিবার চট্রগ্রামের পতেঙ্গা থেকে রাত ১১টায় ছেড়ে পরের দিন সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছায় এবং শুক্রবার সেন্টমার্টিন অবস্থান করে শনিবার সকাল ১১টায় পতেঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এসে পৌঁছায়। এরপর সপ্তাহের সোমবার ও বুধবার জাহাজটি পতেঙ্গা ও সেন্টমার্টিনের মধ্যে যাতায়াত করে।