এক মিনিটে পড়ুন: ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে যেভাবে বদলেছে দাড়ির কদর
বর্তমান সময়ে পুরুষদের মুখে দাড়ি খুবই ট্রেন্ডি একটি বিষয়। বিশেষ করে পুরুষদের খোঁচা খোঁচা দাড়িকে অনেকের কাছেই দারুণ আবেদনময় বলে মনে হয়।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দাড়ি আদতে কোন হালফ্যাশনের বস্তু নয়। সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই পুরুষরা পুরু দাড়ি রাখত। কারণ? যুদ্ধে প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাত থেকে নিজেদের মুখকে যথাসম্ভব রক্ষা করতে!
তাছাড়া প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর জন্যও দাড়ি ছিল বেশ কার্যকর। দাড়ির বদৌলতে পুরুষদের চোয়াল অনেক বড় মনে হতো। স্বভাবতই প্রকাণ্ড চোয়ালের পুরুষদের আক্রমণের আগে একবার হলেও ভাবত প্রতিপক্ষরা।
বর্তমান সময়ের মতো, প্রাচীন আমলেও পুরুষত্বের প্রতীক ছিল দাড়ি। যাদের দাড়ি লম্বা ছিল, তারা সমাজে বিশেষ সম্মানের অধিকারী হতো। আর কাউকে শাস্তি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি ছিল তার দাড়ি ছেঁটে দেওয়া।
কিন্তু দাড়ির এমন রমরমা দশায় পরিবর্তন আসে আলেকজান্ডার দি গ্রেটের সময় থেকে। খ্রিস্টপূর্ব মধ্য চতুর্থ শতকের দিকে তিনি তার সৈন্যদের দাড়ি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কারণ তিনি ভয় পেতেন, প্রতিপক্ষরা লম্বা দাড়ি টেনে তার সৈন্যদেরকে ধরাশায়ী করতে পারে।
মধ্যযুগে কোনো পুরুষের দাড়ি স্পর্শ করাকে অত্যন্ত আপত্তিকর বলে মনে করা হতো। এতটাই যে, এই আপাত 'সামান্য' কারণেই দুজন পুরুষের মধ্যে ডুয়েল পর্যন্ত বেঁধে যেত।
অষ্টাদশ শতকে আবার দাড়ির কদর কমে যায়। আবার পূর্বের অবস্থায় প্রত্যাবর্তন ঘটে ভিক্টোরিয়ান যুগে। আর বর্তমানে দাড়ির সম্মান কোথায় দাঁড়িয়ে, তা তো বলেছিই শুরুতে!
- সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস