ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের প্রভাবে বিশ্ববাজারে বাড়ছে তেলের দাম
সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তেলের দাম ৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি দাঁড়ায় ১০৫ ডলার।
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের আতঙ্কও বেড়ে চলেছে বিশ্বজুড়ে। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনীকে 'সতর্ক' থাকতে বলেছেন। তার এই পদক্ষেপের সমালোচনা চলছে পশ্চিমাবিশ্বজুড়ে। সেইসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা। বিশ্ব অর্থনৈতিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে। একাধিক দেশ নিজেদের আকাশসীমায় রাশিয়ার বিমান ঢোকার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমন পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, সুইফট থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়ার ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, রাশিয়ার কাছ থেকে অন্য দেশগুলো তেল কিনতে পারবে না। কারণ এক্ষেত্রে লেনদেনের কোনো উপায় থাকছে না। আর এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তেল উত্পাদনকারী দেশ রাশিয়া থেকে তেল রপ্তানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই আতঙ্কের মধ্যেই দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম।
সিএনবিসি জানায়, বাজারে লেনদেন শুরু হতেই বাড়তে থাকে তেলের দাম। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫ ডলার। এদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) ব্যারেল প্রতি দাম বেড়ে হয় ৯৮ ডলার।
তবে, এরপরে দাম কিছুটা কমে আসে। ডব্লিউটিআই-এর দাম ব্যারেল প্রতি ৫.০৩ শতাংশ বেড়ে ৯৬.২০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৪.৭৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ১০২.৬১ ডলারে।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের জেরে ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ব্যারেল প্রতি তেলের ১০০ ডলারকে ছাড়িয়েছে। তবে, প্রাথমিকভাবে যে হারে দাম বেড়ে চলেছিল সেই গতিতে কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও চলমান অনিশ্চয়তার মাঝে জ্বালানির দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা এখনি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
- সূত্র: সিএনবিসি