অস্তিত্ব সংকটে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া
দেশের অস্তিত্ব যদি হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারে পিছ পা হবে না রাশিয়া। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্যই করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
তিনি বলেন, "আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার একটি ধারণা রয়েছে এবং সেটি সর্বজনীন। কোন কোন ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে, তা জানতে কারণগুলো আপনিও পড়তে পারেন।"
"সুতরাং এটি যদি আমাদের দেশের জন্য অস্তিত্বের হুমকি হয়, তবে আমরা আমাদের নিরাপত্তার ধারণা অনুযায়ী এর (পারমাণবিক অস্ত্র) ব্যবহার করতে পারি", যোগ করেন তিনি।
এর আগে, গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সিএনএন-কে পেসকভ আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিকমতোই এগোচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মস্কোর যুদ্ধ কৌশলকে 'নিষ্ঠুর' আখ্যা দিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, পুতিন যেকোনো সময় ইউক্রেনে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে। বাইডেনের এমন সতর্কবার্তার পরেই সিএনএন'র সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেন পেসকভ।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরসপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়ে মস্কোর বক্তব্যকে 'বিপজ্জনক' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, "কোনও দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তির এভাবে কাজ করা উচিত নয়। বিষয়টির ওপর আমরা নিয়মিত নজর রেখে চলেছি।"
রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনীকে পুতিনের সতর্কবার্তা দেওয়ার পর থেকেই, পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ইউক্রেনে। অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রতি কোথাও সরানো হয়নি। তবে এরই মধ্যে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটো। এ নিয়ে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন পুতিন। তবে অনেকের মত, পুতিন কেবল পারমাণবিক হাতিয়ারের ভয় দেখিয়ে পশ্চিমা শক্তিকে ইউক্রেন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। ইউক্রেন যাতে পশ্চিমা দেশগুলো কাছ থেকে সাহায্য না পায়, এর জন্যই এমন সব ঘোষণা ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।
- সূত্র: আল জাজিরা