বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের এক-তৃতীয়াংশ দরপতন
দীর্ঘদিন ধরেই তেলের নিম্নমুখী দরকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ হিসেবে বিশ্ববাজারে সরবরাহ আরও কমানোর উদ্যোগ নিতে চাইছিল ওপেক জোট। তবে গত শুক্রবারের আলোচনায় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদক রাশিয়ার বিরোধিতায় ওপেকের এমন পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
ইতোপূর্বে, বিশ্ববাজারে তেলের দর চাঙ্গা রাখতে ওপেকভুক্ত দেশগুলোসহ রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত হয় ওপেকের এক বর্ধিত জোট। জ্বালানি বাজার বিশেষজ্ঞসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম একে ওপেক প্লাস নাম দেয়।
এই জোটে অংশ নেয় রাশিয়া প্রভাবাধীন আরও ১০টি দেশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই জোটের বৈঠকে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো রাশিয়া এবং অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে বাজার সরবরাহ কর্তন নিয়ে ঐক্যমত্য পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। খবর রয়টার্সের।
এদিকে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জীবাশ্ম জ্বালানি তেলের অন্যতম সূচক ব্রেন্ট ক্রূডের দর প্রতি ব্যারেলে ৪৭ ডলারে নেমে আসে। চলতি বছরে জ্বালানি তেল ব্রেন্ট সূচক যে দর নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এটা তার চাইতে এক- তৃতীয়াংশ কম।
এর আগে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষিতে জ্বালানি পণ্যটি ব্যারেল প্রতি ৬০-৬৫ মার্কিন ডলার মূল্য নিয়ে চলতি বছর শুরু করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে 'সরবরাহ কর্তনের পরিকল্পনা এখন সম্পূর্ণ মৃত' বলে জানায় ওপেকের একটি সূত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে আরও জানানো হয়, মূলত ওপেকের নেতৃত্বদানকারী সৌদি আরবের সঙ্গে রাশিয়ার সমঝোতা না হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সমঝোতা না হওয়ার কারণে বিদ্যমান সরবরাহ কর্তন চুক্তি চলতি মার্চেই শেষ হয়ে যাবে। এরপর বাজারে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে ওপেক প্লাস জোটের সদস্য দেশগুলো বাধ্য থাকবে না।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব তেল শিল্পের উৎপাদন ও সরবরাহের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদার চাইতে বেশি সরবরাহ আছে। এই অবস্থায় ওপেক প্লাস বৈঠকের ব্যর্থতার জেরে সার্বিক মূল্য ৬ শতাংশের বেশি কমেছে।