করোনায় সীমিত হলো মুজিববর্ষের আয়োজন
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় সীমিত করা হয়েছে মুজিববর্ষের ১৭ মার্চের নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরাও আপাতত আসছেন না।
রোববার রাতে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠান স্থগিত করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত মুজিববর্ষ। পুরো সময়ই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান হবে। কোনো অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হবে না। তবে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে, জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে; সেজন্য প্রোগ্রামটি আগে যেভাবে সাজানো হয়েছিল, সেটাকে খানিকটা পুনর্বিন্যাস করা হবে। সেই পুনর্বিন্যাস্ত প্রোগ্রামটিই সারা বাংলাদেশে পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জনসমাবেশ বা বড় ধরনের জনসমাগম পরিহার করে মুজিববর্ষের কর্মসূচী পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেজন্য ১৭ মার্চ প্যারেড স্কয়ারে যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেটি পুনর্বিন্যাস্ত আকারে পরবর্তী সময়ে করা হবে।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষে বিদেশি অতিথিরাও আসার কথা ছিল। যেহেতু বিষয়টি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, তাই বিদেশি অতিথিরাও পরে আসবেন।
আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর (মুজিববর্ষ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক হুন সেন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বোকোভাসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথির। এছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের থাকার বিষয়েও আলোচনা চলছিল।