ঢাকার দুই মেয়রের দুই বছর: কাগজে-কলমে ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি, বাস্তবায়ন কম
আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের—উত্তর ও দক্ষিণ—দুই মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর দু-বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এই সময়ে দুই মেয়র প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজ করলেও তাদের মেয়াদের দুই বছরে তেমন কোনো সুফল পায়নি নগরবাসী।
নির্বাচনী ইশতেহারে দুই মেয়রই জলাবদ্ধতা, যানজট, মশার উপদ্রবসহ নানা নমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি তারা। এবং যে প্রক্রিয়ায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে, সেগুলো সঠিক পদ্ধতি নয় বলেই নগরবাসী সুফল পাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২০ সালে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পরে ওই বছরেরই ১৩ মে দায়িত্ব বুঝে নেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং ১৬ মে দক্ষিণ সিটির দায়িত্ব বুঝে নেন শেখ ফজলে নূর তাপস।
নির্বাচনী ইশতেহারে আতিকুল ইসলাম সুস্থ, সচল ও আধুনিক নগরী গড়ার লক্ষ্যে ৩৮টি এবং শেখ ফজলে নূর তাপস ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধশত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছর মেয়াদকালে দুই মেয়র অধিকাংশ কাজই শুরু করতে পারেনি।
যানজট নিরসন
দুই মেয়রেরই নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল নগরীর যানজট নিরসন। কিন্তু তাদের এই দুই বছর মেয়াদকালে যানজট তো কমেইনি, উল্টো বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে করা বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের (এআরআই) এক সমীক্ষা অনুসারে, যানজটের কারণে বর্তমানে ঢাকায় দৈনিক ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা। যেখানে ২০১৮ সালে যানজটে দিনে ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা ক্ষতি হয়। তখন এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
যানজট নিরসনে উত্তরের মেয়রের প্রতিশ্রুতি ছিল সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, নিরাপদ পথচারী পারাপার নিশ্চিত করতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল পুশ বাটন সিগন্যাল স্থাপন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা চালু, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নাগরিকদের জন্য গণ-স্থাপনা এবং গণপরিবহন নিশ্চিতকরণ, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণসহ নানা কর্মসূচির। এছাড়াও ছিল নগরে ইলেকট্রিক বাস চালুর প্রতিশ্রুতি। যার কোনোটিই বাস্তবায়ন তো দূরের কথা, শুরুও করা যায়নি।
যানজট নিরসনে দক্ষিণের মেয়রের প্রতিশ্রুতি ছিল—গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিছু রাস্তায় দ্রুতগতির যানবাহন, কিছু রাস্তায় ধীরগতির যানবাহন, আবার কিছু রাস্তায় শুধু মানুষের হাঁটার ব্যবস্থা করা। এছাড়া, দ্রুতগামী যানবাহনের জন্য আলাদা পথ ও নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা করে রাস্তা পারাপারের সুব্যবস্থাসহ নগর ঘুরে দেখার ব্যবস্থা করা। এসব প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়ন হয়নি।
তবে ইতোমধ্যে বাস রুট রেশনাইলেজশনের মাধ্যমে একটি রুটে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করা হয়েছে দুই সিটি ও বিআরটিএর সমন্বয়ে। পরিকল্পনা আছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরও তিনটি রুটে এ সেবা চালু করার।
কিন্তু পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা নগর পরিবহন তখনই যানজট কমাতে পারবে, যখন পুরো নগরীতে সিটি কর্পোরেশন কিংবা কোনো সংস্থার নিয়ন্ত্রণে একই কোম্পানির বাস চলাচল করবে এবং এতে সব বাস মালিকরা তাদের বাস দিতে পারবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'যানজট নিরসনে শহরের প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য স্কুল বাসের ব্যবস্থা করার বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়েছি। আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।'
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান এ বিষয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, যেকোনো শহর যানজটমুক্ত করতে ডেডিকেটেড বাস সেবা অন্যতম ভূমিকা রাখে।
'রাজধানী ঢাকার এ অসহনীয় যানজটের অন্যতম কারণ ব্যক্তিগত গাড়ি। ঢাকায় যতদিন পর্যন্ত গণপরিবহণের মান উন্নয়ন করা যাবে না, ততদিন যানজট নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হবে না। যদি আগামী ২-১ বছরের মধ্যে নগর পরিবহনের মাধ্যমে ৪-৫ হাজার বাস নামাতে পারেন, তবে যানজট সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আনা সম্ভব,' বলেন তিনি।
জলাবদ্ধতা নিরসন
ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই মেয়রের প্রতিশ্রুতির জেরে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলোকে দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের পরপরই দুই সিটি কর্পোরেশন খালগুলো উদ্ধারে মাঠে নামলেও এখনও পুরোপুরি পানির প্রবাহ ফেরাতে এবং দখলমুক্ত করতে পারেনি তারা। জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকেও মেলেনি মুক্তি।
দক্ষিণ সিটির মেয়র তাপস দাবি করছেন, এ বছর ৩০ মিনিটের মধ্যেই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে পারবেন। যেখানে গত বছর অতিবৃষ্টি হলেও ১ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হয়েছে বলে তার দাবি। অন্যদিকে উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, বিগত সময়ের তুলনায় ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা অনেক কমে গেছে।
দুইবছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের সময় উত্তর সিটিতে জলাবদ্ধতার ১৪২টি হটস্পট ছিল, গতবছর সেটি ছিল ১০১টি এবং এ বছর তা ৪২টিতে নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ বছর দ্রুততম সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে তারা দশটি অঞ্চলের জন্য দশটি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) গঠন করেছেন বলে জানান আতিকুল।
যে পদ্ধতিতে ঢাকার খাল, নদী উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে সেটি আদৌ তেমন কোনো সুফল বয়ে আনবে না বলছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।
তিনি বলেন, 'খাল উদ্ধারের ক্ষেত্রে সিএস, আরএস ম্যাপ দেখে উদ্ধারের বিষয়ে আইনে বলা হয়েছে। কিন্তু যেভাবে উদ্ধার করছে এতে কিছু সংখ্যক খাল দখলমুক্ত করা হলেও অধিকাংশ দখলদাররা স্থায়ী হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে খাল উদ্ধার করে ঢাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।'
মশার অত্যাচার কমেনি
গত অর্থবছরে দক্ষিণ সিটিতে মশা নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও খরচ করতে পেরেছে মাত্র ২০ কোটি টাকা। উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৮০.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও খরচ করেছে ৫৫.৫ কোটি টাকা।
২০২১-২২ অর্থ বছরে উত্তর সিটিতে বরাদ্দ আছে ১১০ কোটি টাকা এবং দক্ষিণ সিটিতে ৩৫.৩০ কোটি টাকা। যার অধিকাংশই খরচ হচ্ছে কীটনাশক কিনতে। যে কীটনাশক প্রয়োগ নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন।
কিন্তু গত বছর দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় এবং মারা যায়। ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন এবং মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ গত বছরের থেকেও ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী টিবিএসকে বলেন, 'এখনই ১০-১২ জন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে—এটা ভালো সংবাদ নয়। এডিস মশা নির্মূলে সিটি কর্পোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে।'
ভাইরাস ট্র্যাকিং করার এবং রোগীদের স্থান অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'এ বছর চিকুনগুনিয়াও হতে পারে। এজন্য আগ থেকেই সচেতন হতে হবে। তবে সে বিষয়ে দুই সিটির তেমন পদক্ষেপ দেখা যায় না।'
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একাধিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তর সিটি র্যাপিড অ্যাকশন টিম করেছে বলে জানান উত্তরের মেয়র আতিকুল।
তাপস বলেন, 'ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল ও আশপাশের ৪০০ গজ এলাকার মধ্যে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে বিশেষ লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।'
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের ব্যবস্থার বিষয়ে দুই মেয়রই জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু গত দুই বছরে এখনও গড়ে তুলতে পারেননি আধুনিক ব্যবস্থা। বেশ কিছু সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) তৈরি করা হলেও তা অপ্রতুল এবং এসটিএসের বাইরেই চলে বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং জমিয়ে রাখা থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যা পথচারীসহ যানবাহন চলাচলেও সৃষ্টি করছে সমস্যা।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস বলেন, 'বর্জ্য অপসারণে আমাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ৫১টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ করেছি। আরও ১১ টি নির্মাণের কাজ চলছে।'
২০২৩ সালের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উত্তরের মেয়র বলেন, 'আমরা অ্যাট সোর্স-এ এ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া আমাদের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই এসটিএস রয়েছে। এছাড়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।'
বায়ু ও শব্দদূষণ কমানো
গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করলেও দুই সিটি কর্পোরেশন বায়ুদূষণ রেধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। বন্ধ করতে পারেনি শব্দ দূষণের অন্যতম মাধ্যম অযথা হর্ন বাজানোও।
বায়ু দূষণ নিয়ে আতিকুল বলেন, তারা বায়ুদূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস চালুর বিষয়ে পরিকল্পনা করেছেন। এছাড়া বায়ুদূষণ রোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দুটি 'স্প্রে ক্যাননের' মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি ।
তাপস বলেন, বায়ুদূষণে ৮০ শতাংশ দায়ী পরিবহনে ব্যবহৃত জ্বালানি, ইটের ভাটা ১০ শতাংশ এবং কলকারখানা ও অবকাঠামো উন্নয়ন ১০ শতাংশ দায়ী।
'ইটের ভাটা, কলকারখানা ও অবকাঠামো উন্নয়নে একটা সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে,' জানান তিনি।
শব্দ দূষণের বিষয়ে তিনি বলেন, এর জন্য অন্যতম দায়ী যানজট। এ যানজট নিরসনে তারা কাজ করছেন।
এছাড়া যেখানে-সেখানে গাড়ির হর্ন না বাজাতে নির্দশনা দেবেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর অন্যান্য সাধারণ সমস্যা
রাজধানীর সড়ক খননে নীতিমালা থাকলেও কেউ তা মানছে না। যখন যে সংস্থার ইচ্ছা, তারাই খোঁড়াখুঁড়ি করছে। এমনও সড়ক রয়েছে যেখানে এক সংস্থা কাজ শেষ করে যাওয়ার পর আরেক সংস্থা এসে একই জায়গায় আবার খুঁড়ছে। খোঁড়াখুঁড়ির এ চিত্র রাজধানীজুড়েই। ফলে দুর্ভোগ মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণের মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া বর্ষা মৌসুমে কোনো খোঁড়াখুড়ির অনুমতি দেওয়া হবে না।
দিন দিন রাজধানীর ফুটপাত দিয়ে হাঁটার জায়গা কমে আসছে। ফুটপাতজুড়ে হকারের ব্যবসা। কিছু জায়গায় উন্নয়নযজ্ঞে উধাও হয়ে গেছে ফুটপাত। দুই মেয়র দুই বছরে আজও হকারদের ফুটপাত থেকে সরাতে পারেননি, তাদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় ব্যবস্থাও করতে পারেননি।
এদিকে পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল ব্যবসার বলি হচ্ছেন বাসিন্দারা। নিমতলীর পর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পরও কেমিক্যাল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
তবে বেশ কিছু এলাকায় খেলার মাঠ ও পার্ক উন্নয়ন করা হয়েছে। অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। নাগরিক সমস্যা সমাধানে সবার ঢাকা নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে ঢাকা উত্তর। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষসহ সবার জন্য ৩৪টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। গাবতলীতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য চারটি ১৫তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
তাছাড়া যানজট নিরসনে রাজধানীর বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের কাজও শুরু করা হয়েছে বলে জানান দুই মেয়র।
ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, 'ঢাকা শহর পুরোটাই একটি অপরিকল্পিত নগর। শুধুমাত্র মেয়রের উপর নির্ভরতা কমিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সকল বডিকে কাজে লাগিয়ে এবং কমিউনিটিভিত্তিক সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নিলে নগরের অনেক সমস্যাই সমাধান করা সম্ভব।'
এজন্য সবার সমন্বয়ে সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।