আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১৩০ পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রক শুল্ক আরোপ
বিদ্যমান ডলার সংকট ঠেকাতে নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে এবার আমদানিকৃত ফল, কসমেটিকস, ফার্নিচার ও ফুলের উপর ২০% হারে রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) বা নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক আরোপ করেছে সরকার। এতে করে এ ধরণের শতাধিক আইটেমের আমদানিতে বাড়তি শুল্ক দিতে হওয়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।
আগামী ৯ জুন সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাব পেশ করতে যাচ্ছেন। কোনো পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক কর আরোপের বিষয়টি সাধারণত বাজেটেই সরকার নির্ধারণ করে থাকে। কিন্তু এবার বাজেটের ১৫ দিন আগেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিলো।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের ফল আমদানিতে ৫৮ শতাংশ থেকে প্রায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কর রয়েছে, যার মধ্যে ৩% আরডি রয়েছে। নতুন করে এসব ফলের উপর ২০% আরডি আরোপ হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস আইটেমে ১০৪% থেকে ১২৭% পর্যন্ত শুল্ক-কর রয়েছে। আর ফুল আমদানিতে রয়েছে ৫৮% শুল্ক-কর।
বাংলাদেশ মূলত বিভিন্ন ধরনের কমলা, আপেল, আঙ্গুর, খেজুর, মাল্টা বেশি আমদানি হয়। এর বাইরেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন নতুন ফল আমদানি হচ্ছে।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মূলত এসব পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভ্যাট আইন বিশেষজ্ঞ এবং চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ফার্ম, স্নেহাশিস মাহমুদ এন্ড কোম্পানির সহযোগী স্নেহাশিস বড়ুয়া বলেন, 'সরকার বিদ্যমান ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এসব পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।'
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং অ্যান্ড প্লান্ট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর দুই লাখ টনের বেশি আপেল, দেড় থেকে দুই লাখ টন কমলা এবং ৫০ হাজার টনের বেশি আঙ্গুর আমদানি হয়। তবে মাল্টা আমদানির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় থাকে নি।
২০২০ সালে বাংলাদেশে স্কিনকেয়ার প্রডাক্টের বাজার ছিল ১.১৬ বিলিয়ন ডলারের; ২০২৭ সাল নাগাদ এ বাজার ২.১২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। এতে ২০২১ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে সামগ্রিকভাবে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮.১%।
বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, প্রসাধন সামগ্রীর ৮০% দেশেই উৎপাদিত হয়।