রাশিয়ান তেলের ওপর ইইউ’র নিষেধাজ্ঞায় আবারও বাড়তে যাচ্ছে তেলের দাম
চলতি বছরের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ৯০ শতাংশ রাশিয়ান ক্রুড (অপরিশোধিত তেল) বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আবারও তেলের দাম বাড়তে যাচ্ছে।
রেফিনিটিভের তথ্য বলছে, জুলাই মাসের জন্য ইউএস ক্রুডের দাম ৩.৫৩ শতাংশ বেড়ে ১১৯.১২ ডলার, ব্রেন্ট ক্রুডের ১.৮৭ শতাংশ বেড়ে ১২৩.৯৫ শতাংশ হয়েছে। এক পর্যায়ে, ইউএস ক্রুডের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১১৯.৪২ শতাংশে দাঁড়ায়।
আগামী আগস্টের তেলের চালানের দামও বেড়েছে, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৩.৬৬ শতাংশ বেড়ে ১১৬.৩৪ ডলার, ব্রেন্টের দাম প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে ১১৯.৯৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ হাঙ্গেরি বিগত দিনগুলোতে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির নিষেধাজ্ঞার বিরোধীতা করলেও, অবশেষে ইইউর সবগুলোর দেশ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। রাশিয়ার অন্যতম প্রধান তেল আমদানিকারক ছিল হাঙ্গেরি।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল এই সিদ্ধান্তের পর এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, এরফলে রাশিয়া থেকে ৭৫ শতাংশ তেল আমদানির ওপর প্রভাব পড়বে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ছয় নম্বর প্যাকেজের অংশ এই নিষেধাজ্ঞা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন জানান, এই নিষেধাজ্ঞা আরও বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ ছিল। কারণ জার্মানি এবং পোল্যান্ড এ বছরের মধ্যেই রাশিয়ার কাছ থেকে ধীরে ধীরে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আমদানি বন্ধ করে দিতে স্বেচ্ছায় সম্মত হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ৩৬ শতাংশ তেল আমদানি করা হয় রাশিয়া থেকে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইতোমধ্যে চড়া তেলের বাজার নিয়ে আরও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিগত এক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়ছে, অনেক দেশেই এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার খবর আসার পর কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার মাইনিং-কমোডিটিস রিসার্চের পরিচালক ভিভেক ধর লিখেছেন, "এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পাইপলাইনে আসা তেল অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে জাহাজে করে তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞাও গুরূত্বপূর্ণ, কারণ ইইউ'র প্রয়োজনের দুই-তৃতীয়াংশ তেলই আমদানি হয় রাশিয়া থেকে"।
- সূত্র: সিএনবিসি