বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে দুধের দাম বাড়াল মিল্ক ভিটা
বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের দিনে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়ালো বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড মিল্ক ভিটা। প্রতিষ্ঠানটি এক লিটার দুধে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বুধবার পণ্যের দাম পুনঃনির্ধারণ করে একটি নোটিশ জারি করে মিল্ক ভিটা। এর আগে আড়ং প্রতি লিটারে দুধের দাম ১০ টাকা বাড়িয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার প্যাকেটজাত তরল দুধে ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। এছাড়া আধা লিটারের প্যাকেট ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। ২৫০ মিলি প্যাকেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা; যা এতোদিন বিক্রি হতো ২০ টাকায়।
মিল্ক ভিটা পাস্তুরিত তরল দুধ, টোনড মিল্ক, ফ্লেভার্ড মিল্ক, ঘি, মাখন, ননিযুক্ত গুঁড়া দুধ, ননিবিহীন গুঁড়া দুধ, মিষ্টি দই, টক দই, রসগোল্লা সন্দেশ, চীজ, কেকসহ ২২ ধরনের পণ্য বাজারজাত করে আসছে । সব ধরণের পণ্যের দামই বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিল্ক ভিটার মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোঃ মইনুল হক চৌধুরী জানান, তরল দুধ, বাটারসহ সব ধরণের পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটার পাস্তুরিত তরল দুধে বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা।
তিনি বলেন, এখন গোখাদ্য থেকে শুরু করে সব ধরণের পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। পশুর খাদ্যে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও দাম বাড়িয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আগেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।
বুধবার ছিল বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। 'পরিবেশ, পুষ্টি ও আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে টেকসই ডেইরি সেক্টর'- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে দিবসটি উদযাপন করা হয়। সরকারিভাবে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় দিবসটি উদযাপন করে। দুগ্ধ খাতে দেশের সফল খামারি ও উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৩৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে 'ডেইরি আইকন ২০২১' পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। ডেইরি খামার, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লক্ষ টাকা। সেই সাথে প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সনদ।
এসময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, কিছু কৌশলগত সমস্যার কারণে প্রাণিখাদ্য ও অন্যান্য খাদ্যের দাম বাড়ছে। কিছু মজুতদার ও মুনাফালোভী খারাপ লোক আছে, তারা নিজেরা অনেক কিছু গোপন করে, আটকে রেখে বাইরে ছাড়ছেন কম। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে বাইরে থেকে যে উপাদান আনতে হয় তা অতিরিক্ত নিয়েও অনেকে সেটা গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সংকট দেখান।
জানা গেছে, ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ঐ বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্তকরণে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়।