ব্যাংকগুলি রেমিট্যান্স ও ঋণপত্রে ডলারের দর নির্ধারণ করতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকিং খাতের জন্য মার্কিন ডলারের নির্দিষ্ট দরে প্রবাসী আয় সংগ্রহ এবং ঋণপত্র (এলসি) খোলার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট দরেই ডলার বিক্রি করবে বলে জানিয়েছেন এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, দেশে আসা রেমিট্যান্স ও ঋণপত্র খোলার নির্দিষ্ট দর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন ব্যাংকগুলি নিজেদের সুবিধামতো নির্ধারণ করতে পারবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হারে সংগ্রহ করতে হলে রেমিট্যান্সে বড় ধরনের প্রভাব পড়তো, সেজন্য এটি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, এর ফলে ডলারের দাম যেন হঠাৎ বেড়ে না যায়- সে বিষয়েও ব্যাংকগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই নির্দেশনা রয়েছে ফরেন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে এরমধ্যেই জানানো হয়েছে যে মুদ্রাবাজার অনুসারে তারা ডলারের দর নির্ধারণ করতে পারবে।
"আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় ও রপ্তানিকারকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে নেওয়া হয় এ সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা আয়কারীরা যেন লাভবান হন সেজন্য বাজারমূল্য অনুসারে ডলারের দর নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।"
সিরাজুল আরও বলেন, ব্যাংকগুলি এবং তাদের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় শাখা মনিটর করতে এরমধ্যেই কয়েকটি পরিদর্শক টিমকে নিয়োজিত করা হয়েছে।
ডলারের মূল্যসীমা উঠিয়ে নেওয়া দেশের মুদ্রাস্ফীতিতে প্রভাব ফেলবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য জায়গাতেও এটি বাড়ছে।
"আমরা কেউ বিশ্ব ব্যবস্থার বাইরে নই। তবে ডলারের মূল্য ছাড়া আরও কিছু পদ্ধতিতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বর্তমানে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজন অনুসারে দরকারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে"- যোগ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।