৭২৫ রানের জয়ে অনন্য কীর্তি, ভাঙলো ৯২ বছরের পুরনো রেকর্ড
জয়ের ব্যবধান দেখলে যে কেউ ধন্ধে পড়ে যেতে পারেন, এমনও সম্ভব নাকি! মনে হতে পারে স্কোরে কোথাও ভুলে লেখা হয়েছে। না, কোনো ধন্ধ বা সংশয় নয়। রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বাই এমন এক জয় পেয়েছে, যা ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। ৭২৫ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারতের ঘরোয়া দলটি।
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তরাখণ্ডের বিপক্ষে পাওয়া মুম্বাইয়ের জয়টি রানের হিসেবে প্রথম শ্রেণির ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। এই সংস্করণের দীর্ঘ পথচলায় ৭০০ বা এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের কীর্তি ছিল না কোনো দলের। দাপুটে ক্রিকেট খেলে সেটাই করে দেখালো পৃথ্বী শ- এর দল মুম্বাই। ভেঙে দিল ৯২ বছরের পুরনো রেকর্ড, উঠে গেল আসরের সেমি-ফাইনালেও।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় বেশি রানের জয়ের রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া দল নিউ সাউথ ওয়েলসের। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ডকে ৬৮৫ রানে হারিয়েছের তারা। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত ফরম্যাট টেস্টে রানের দিকে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের দখলে।
১৯২৮-২৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়াকে ৬৭৫ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানে জয়ের তালিকার দুই নম্বরে ছিল। মুম্বাইয়ের কীর্তিতে ইংল্যান্ডের জয়টি তিন নম্বরে নেমে গেল।
লঙ্গার ভার্সনে ৬০০ বা এর বেশি রানের জয় আছে কেবল দুটি। এই রেকর্ডেও আছে নিউ সাউথ ওয়েলসের নাম। ১৯২০-২১ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে ৬৩৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। আরেকটি জয় মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে ৬০৯ রানে হারিয়েছিল তারা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা মুম্বাই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে প্রথম ইনিংসেই। সুভেদ পারকারের ২৫২, সফরফরাজ খানের ১৫৩, আরমান জাফরের ৬০ ও শামস মুলানির ৫৯ রানে ৮ উইকেটে ৬৪৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন মুম্বাই। জবাবে ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় উত্তরাখণ্ডের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসেই ৫৩৩ রানের বিশাল্য ব্যবধানে এগিয়ে যায় মুম্বাই। এরপরও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে দলটি। পৃথ্বীর ৭২, যশস্বী জয়সাওয়ালের ১০৩ ও অদিত্য তারের ৫৭ রানে ৩ উইকেটে ২৬১ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে মুম্বাই। উত্তরাখণ্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭৯৫ রান। পাহাড়সম লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে মাত্র ৬৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা।