সুরমার পানির উচ্চতা আরও ৭ ফুট ছাড়িয়ে যাবে, সিলেট আরও প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে
আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন ধরে সিলেটে বন্যার পানি আরও বাড়বে বলে ধারণা করেছেন নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত।
সুরমা নদীতে পানির উচ্চতা ইতিহাসের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, সুরমার পানির উচ্চতা আরও ৫ থেকে ৭ ফুট বাড়বে।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত 'শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণ: বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশ তথা উন্নয়নশীল দেশসমূহের এক যুগান্তকারী বিজয়' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি শনিবার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইনুন নিশাত বলেন, 'আমাদের বড় বড় প্রকল্প অবশ্যই লাগবে। তবে অনর্থক বড় প্রকল্প যেন নেওয়া না হয়।'
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে তিনি আরও বলেন, 'সিলেটবাসীর জন্য আগামীতে আরও বড় ধরনের দুঃসংবাদ রয়েছে। সুরমা নদীর পানি আরও বাড়বে।'
প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
এছাড়াও সেমিনারে আলোচনা করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামসুল আলম, অর্থনীতিবিদ ড. এম খালিকুজ্জামান, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান।
প্রসঙ্গত, সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক উঁচু এলাকাও প্লাবিত হয়ে পড়ছে।
ভয়াবহ এই বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ।
মেঘালয় বা আসাম থেকে আসা বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নদীপথে হাওর থেকে বেরিয়ে মেঘনা বা যমুনা হয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যায়। কিন্তু হঠাৎ উজান থেকে আসা অতিরিক্ত পানি বের হতে না পারাকে এবারের বন্যার প্রধান কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।