'কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরিতেও কাজ করতে হবে'
শুধুমাত্র চাকরির বাজারের জন্য নয়, যুব ও তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রস্তুত করতে হবে বলে মত দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ তাদের 'আই (এডুকেশন ফর ইউথ এমপাওয়ারমেন্ট)' প্রোগ্রামটির গত দশ বছরের অভিজ্ঞতা এক গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরে। তাতে দেখা যায় কারিগরি প্রশিক্ষ প্রাপ্ত তরুণদের কর্মক্ষেত্রে সহজে প্রবেশের হার অনেক বেশি।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, "যুব ও তরুণদের প্রস্তুত করতে সরকারের সাথে উন্নয়ন সংস্থা ও প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগ খুব প্রয়োজন। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আমাদের উদ্যোক্তাও তৈরি করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য সবাই মিলে স্মার্ট প্রজন্ম তৈরিতে কাজ করতে হবে।"
অনুষ্ঠানে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তরুণ ও যুবদের জন্য 'আই' প্রোগ্রামের কৌশলপত্র প্রণয়নের পরামর্শ ও মতামতও দিয়েছে তরুণ ও যুবরা। ঢাকা থেকে আগত তরুণ মাহমুদুল হাছান বলেন, "পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মেলাতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও দক্ষ হতে হবে। বর্তমানে কোন সেক্টরেই প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণ ও যুবদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।"
তরুণ ও যুবদের ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তত করতে নেতৃত্বদানের প্রশিক্ষণ, আলোচনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি পরামর্শও উঠে এসেছে অনুষ্ঠানে। এসকল পরামর্শ বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞ ও সরকারি কর্মকর্তাগণ।
'আই' প্রোগ্রামটি মূলত তরুণ ও যুবদের কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করে ক্যারিয়ার গঠনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ফান্ড প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে কাজ করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম খান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন অর্থনীতিবিদ সৈয়দ রাশেদ আল জায়েদ জশ, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ফুড সিকিওরিটি অ্যান্ড লাইভলিহুড সেক্টর ডিরেক্টর তানিয়া শারমিন, প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি সেক্টর পরিচালক রিফাত বিন সাত্তার এবং প্রাইভেট সেক্টর থেকে আগত অতিথিবৃন্দ।