স্ন্যাপচ্যাট থেকেও ট্রাম্প বাদ
জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ট্রাম্প স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারেন এমন আশঙ্কা করছে অপারেটরেরা।
এএফপির এক অনুসন্ধানের জবাবে স্ন্যাপচ্যাট জানায়, "গত সপ্তাহে আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলাম।"
"ভুল তথ্য ও ঘৃণা ছড়ানো এবং সহিংসতা উসকে দেয়া সম্পূর্ণভাবে আমাদের নীতিমালার বিরোধী; আমরা তাই জনস্বার্থে স্থায়ীভাবে তার একাউন্ট বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
ক্যাপিটলের দাঙ্গার পর থেকেই ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করতে থাকে।
কোন ব্যবহারকারী যেন হিংসা ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়াতে না পারে, গুগল এবং অ্যাপল তাই তাদের ডিজিটাল কনটেন্ট স্টোর থেকে ডানপন্থী ঘেঁষা পার্লার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপটিকেও নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসও পরে তাদের ডেটা সেন্টার থেকে পার্লার অ্যাপটিকে বাদ দিয়ে দেয়।
"টুইটার থেকে realDonaldTrump একাউন্টটিকে নিষিদ্ধ করার ফলে আমি কোন গর্বের বা উদযাপনের ব্যাপার দেখিনা,' বুধবার একটি টুইটে লেখেন টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসি।
"স্পষ্ট সতর্কতার পরে আমরা এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করব, টুইটারের বাইরে এবং মানুষের শারীরিক সুরক্ষার জন্যও যেন হুমকি হয়ে না যায় এমন সর্বোত্তম তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।"
এদিকে ট্রাম্প কেন তাদের প্ল্যাটফর্মে স্বাগত নন, অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেসবুক, গুগল এবং টুইটারের কাছে বুধবার এমন একটি ব্যাখ্যার দাবি জানিয়েছেন টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেইন প্যাক্সটন।
'আপাতদৃষ্টিতে সমন্বিত উপায়ে (ট্রাম্পের) ডি-প্ল্যাটফর্মিং' যেন 'তাদের চুপ করিয়ে দিয়েছে, যাদের বক্তব্য এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানীর হর্তাকর্তাদের সাথে মেলে না', উল্লেখ করেন প্যাক্সটন।
এই স্টেট এটর্নি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তাদের নীতিনির্ধারণী এবং কনটেন্ট সমন্বয় নিয়ে কথা বলতে প্রশাসনিক সমন জারি করেন। পার্লার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নিয়েও সেখানে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ভাবনা উত্থাপন করতে বলা হয়।