তামিমের ছক্কার বাহার, আলোকচিত্রী যখন ‘বল বয়’
সিরিজ জয়ের মিশন শেষ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আরও গোছালো ক্রিকেট খেলতে চায় তামিম ইকবালের দল। বিশ্বকাপ সুপার লিগের ১০ পয়েন্ট ও প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার তৃপ্তি নিতে রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নেটে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং-বোলিং করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
নেটে ব্যাট হাতে ছক্কার ফুলঝুরি সাজান বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। স্কয়ার লেগ ও মিড উইকেটের মাঝ দিয়ে ছক্কা মারছিলেন তামিম। বল গিয়ে পড়ছিল গ্যালারিতে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবেই বল কুড়িয়ে পাঠানোর জন্য সেখানে কেউ ছিলো না। এ সময় ঘটনাচক্রে 'বল বয়' হয়ে উঠতে হয় কর্তব্যরত এক আলোকচিত্রীকে!
তৃতীয় ওয়ানডের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে রোববার সকাল ১০টায় অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ। একটা পর্যায়ে নেটে ব্যাটিং শুরু করেন তামিম। বেশ কিছুক্ষণ পেসারদের বল মোকাবিলা করে পাশের নেটে যান বাংলাদেশের বাঁহাতি এই ওপেনার। এই নেটে তিন স্পিনার তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শেখ মাহেদী হাসানকে পান তিনি।
ব্যাটিংয়ের শেষের দিকে গিয়ে শট খেলতে থাকেন তামিম। এর মধ্যে কয়েকটি বল গিয়ে পড়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিম গ্যালারিতে। সেখানে বল কুড়িয়ে পাঠানোর মতো কেউ ছিলেন না। ওই গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে তখন ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ছবি তুলছিলেন এক আলোকচিত্রী। তাকে বল ফেরত পাঠাতে অনুরোধ করা হয়। একাধিক বল কুড়িয়ে মাঠে ফেরত পাঠান তিনি।
অন্য সময় হলে ক্রিকেট মাঠে এমন দৃশ্য অতি স্বাভাবিক এবং পরিচিত ছিল। কিন্তু করোনাকাল বলে জৈব সুরক্ষা বলয় এতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কর্তব্যরত সেই আলোকচিত্রী জৈব সুরক্ষা বলয়ের কেউ নন। বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি। যে বল সোজা গিয়ে জমা হয়েছে নেটে বোলিং করতে থাকা বোলারদের হাতে। বোলারদের হাতে বল যাওয়ার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কারও করা হয়নি।