আড়াই বছরে শেষ হবে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নির্মাণ
২০১৮ সালে ঢাকার পূর্বাচলে নতুন একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০২০ সালে এসে করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্টেডিয়ামের কার্যক্রম পিছিয়ে যায়। থমকে যাওয়া কার্যক্রমে হাওয়া লেগেছে। নৌকার আদলে নকশা করা শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান একটি কোম্পানিকে। রোববার জানানো হলো স্টেডিয়াম নির্মাণের সময়কালও।
কাজ শুরু হওয়ার আড়াই বছরের (৩০ মাস) মধ্যে স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা বিসিবির। ডিজাইন ও নির্মাণ কাজের জন্য প্রাথমিভাবে দুটি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানিকে বাছাই করে বিসিবি। সেখান থেকে পপুলাস আর্কিটেকচারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানটি ছিল কক্স আর্কিটেকচার। বিশ্বব্যাপী বড় বড় স্টেডিয়াম তৈরির অভিজ্ঞতা আছে কোম্পানি দুটির। অলিম্পিক-ফিফা বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম তৈরি করেছে তারা।
বিসিবির সপ্তম সভায় পপুলাস আর্কিটেকচারের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারবে বিসিবি। চুক্তি পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে শুরু হবে স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ। বিসিবির আশা, ৩০ মাসের মধ্যে স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ করা যাবে। রোববার সভা শেষে এসব তথ্য দেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
বিসিবির এই পরিচালক মিরপুরে বলেন, 'এজেন্ডা মূলত একটাই ছিল, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। পপুলাসকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। কনসালটেন্ট ডিজাইন, এই কনসালটেন্ট ডিজাইন তাদেরকে দেওয়ার যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে, সেটার অনুমোদন আজকে দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হবে। আমরা প্রস্তত আছি, কাগজপত্র তৈরি আছে। যেকোনো দিন চুক্তি হয় যাবে। চুক্তি হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তাদেরকে কাজ শুরু করতে হবে।'
নির্মাণ কাজের সময়কাল নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'ড্রয়িং ডিজাইনের একটা টাইমলাইন দেওয়া আছে যে, আমরা ৬ মাসের মধ্যে আশা করছি। তবে এর আগেই আমরা চেষ্টা করব কাজ শুরু করার জন্য। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এগোতে চাই। চুক্তি হওয়ার সময় থেকে আমাদের ৩০ মাসের একটি টাইমলাইন করা আছে। এভাবেই করা আছে। এর মধ্যেই চেষ্টা করা হবে কাজ শেষ করার।'
২০১৮ সালে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। নৌকার আদলে নকশা প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। তবে এখন পর্যন্ত স্টেডিয়ামটি দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ২০২৩ সালে স্টেডিয়াম প্রস্তুতের লক্ষ্য থাকলেও সেটি সম্ভব হচ্ছে না। ২০২৪ সালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। এখানে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটা আর হচ্ছে না।