ক্যাম্পবেল ঝড়ের পরও বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিতে পারলো না জিম্বাবুয়ে
একই গল্প যেন নতুন করে লিখলো জিম্বাবুয়ে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪১ রানেই ৭ উইকেট হারানো দলটি আজ ৪২ রানে হারালো ৫টি উইকেট। এখান থেকে আগের ম্যাচের মতো করেই ঘুরে দাঁড়ালো সফরকারীরা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পথ দেখান ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা আর আজ কাণ্ডারী হলেন ব্রায়ান বেনেট ও অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেল।
ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন দেশটির সাবেক ব্যাটসম্যান অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে, বেনেটও দ্রুত রান তুললেন। এরপরও অবশ্য বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ে। রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান তুলেছে দলটি।
চতুর্থ ওভারে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ, ফিরিয়ে দেন তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে। জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেইগ আরভিন চেষ্টা করলেও চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ৩০ রানে যে আঘাত আসে, তাতে এলোমেলো হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন তোপে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা।
৪২ রানের মধ্যেই ফিরে যান গাম্বি, অধিনায়ক সিকান্দার রাজা, ক্লাইভ মাদান্দে ও আরভিন। এখান থেকে হাল ধরেন বেনেট ও ক্যাম্পবেল। কঠিন সময় হলেও শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন ক্যাম্পবেল। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মুহূর্তেই উইকেটে থিতু হয়ে যান। বেনেট কিছুটা সময় নিয়ে তারপর দ্রুত রান তোলা শুরু করেন।
ষষ্ঠ উইকেটে ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন বেনেট-ক্যাম্পবেল। দলীয় ১১৫ রানে ভাঙে এই জুটি। শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ রান করেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ক্যাম্পবেল।
বেনেট অবশ্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৯ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া গাম্বি ১৭ ও আরভিন ১৩ রান করেন। প্রথম ম্যাচের মতো আজও আগুনে বোলিং করেন তাসকিন। ডানহাতি এই পেসার ৪ ওভারে ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদেরও শিকার ২ উইকেট, ৪ ওভারে তিনি দেন ৩৩ রান। সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদি ও শরিফুল একটি করে উইকেট পান।