চরম হতাশায় বিশ্বকাপ মিশন শুরু বাংলাদেশ যুবাদের
বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কিনা এই হাল? অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে গিয়ে শুরুতেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশের যুবারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলমান যুব বিশ্বকাপে রাকিবুল হাসানের দলের শুরুটা হলো চরম হতাশার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের যুবাদের বিপক্ষে হতশ্রী ব্যাটিংয়ের পর বড় হার মেনে নিলো বাংলাদেশ।
রোববার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের পরের দুই ম্যাচে কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে লড়বে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ দুটি ২০ ও ২২ জানুয়ারি সেন্ট কিটসেই অনুষ্ঠিত হবে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ যুবাদের ইনিংস ৩৫.২ ওভারে মাত্র ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায়। ইংল্যাল্ডের বাঁহাতি পেসার জশুয়া বয়ডেনের তোপে পথ হারানো বাংলাদেশ পরে অন্য বোলারদেরও সামলাতে পারেনি। জবাবে ২৫.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে অতি সাবধানী শুরু করে ইংলিশ যুবারা। প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৭ রান তোলে তারা। যদিও পরের ওভার থেকে রান তোলার গতি বাড়িয়ে নেয় তারা। পরের দুই ওভারেই তারা ১৫ রান তোলে। যদিও এর মধ্যে একটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১৫ রান করা জর্জ থমাসকে ফেরান বাংলাদেশের পেসার রিপন মন্ডল।
কিছুক্ষণ পর ইংলিশ অধিনায়ক টম প্রেস্টকে ফেরান বাংলাদেশের অধিনায়ক রাকিবুল। ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়ে যায় তারা। কিন্তু এরপর আর দলকে চাপ বুঝতে দেননি জ্যাকব বেথেল ও জেমস রিউ। চতুর্থ উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের খুবু কাছে পৌঁছে দেন তারা।
দলীয় ৯১ রানে আউট হন বেথেল। রান আউটে কাটা পড়ার আগে ৬৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি। জেমস রিউ ৩৯ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ১ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন উইলিয়াম লাক্সটন। রাকিবুল ও রিপন একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের মাত্র চার জন দুই অঙ্কের রান করেন। বাকিরা উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন। সর্বোচ্চ রান এসেছে যার ব্যাট থেকে, তিনি পেসার রিপন মন্ডল। ব্যাটসম্যানদের মধ্য থেকে দুই অঙ্কের রান করেছেন কেবল আইচ মোল্লা। এ ছাড়া অলরাউন্ডার এসএম মেহরব পৌঁছান দুই অঙ্কের ঘরে।
দুঃস্বপ্নের শুরু হয় বাংলাদেশের। দলীয় ৬ রানেই বাংলাদেশের ওপেনার মাহফিজুল ইসলামকে ফিরিয়ে দেন বয়ডেন। নিজের পরের ওভারে আরিফুল ইসলামকেও সাজঘর দেখিয়ে দেন তিনি। চার ওভারের ব্যবধানে ফিরে যান প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও মোহাম্মদ ফাহিমও।
৮ রানেই ৪ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন আইচ মোল্লা। এতে মেলে কয়েক মিনিটের প্রতিরোধ। দলীয় ২৬ রানে আবারও উইকেট পতন, ফিরে যান আশিকুর জামান। একটু পর বিদায় নেন আইচ, তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।
এরপর মেহরব ১৪ রান ও শেষ উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে ৯৭ রান এনে দেন পেসার রিপন মন্ডল ও নাঈমুর রহমান। রিপন ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। নাঈমুর করেন ১১ রান। এ ছাড়া মাহফিজুল ৩, আরিফুল ৪, নাবিল ০, ফাহিম ১, আশিকুর ৯, আল মামুন ৪ ও অধিনায়ক রাকিবুল ০ রান করেন।
ইংল্যান্ডের জশুয়া বয়ডেন মাত্র ১৬ রানে ৪টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন থমাস অ্যাসপিনওয়াল। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন জেমস সেলস, ফাতেহ সিং ও টম প্রেস্ট।