দাপুটে জয়ে চেনা চেহারায় যুবারা
আসরে শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়া বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে চরম হতাশার পারফরম্যান্স করে। ব্যাটে-বলে উল্টো পথে হেঁটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হার মেনে নেয় রাকিবুল হাসানের দল। স্বভাবতই হতাশার শেষ ছিল না। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়েই চেনা চেহারায় ফিরল বাংলাদেশ যুবারা।
কানাডার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নের মতোই খেললো বাংলাদেশ। যুব বিশ্বকাপে 'এ' গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কানাডাকে পাত্তাই দেননি রিপন মন্ডল, মেহরব হোসেন, ইফতেখার হোসেনরা। ব্যাটে-বলে শাসন করে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২২ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে লড়বে যুবারা।
বৃহস্পতিবার সেন্ট কিটসে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে অল্প রানেই গুটিয়ে যায় কানাডার ইনিংস। রিপন মন্ডল, মেহরব হোসেনের বোলিং তোপে ৪৪.৩ ওভারে ১৩৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় দলটি। রিপন ও মেহরব ৪টি করে উইকেট নেন।
জবাবে এই রান পাড়ি দিতে কোনো বেগই পোহাতে হয়নি বাংলাদেশকে। শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও ইফতেখার হোসেন ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের ব্যাটে ১৯.৫ ওভার হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৬ রানে ওপেনার মাহফিজুল ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। ১২ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাধেন ইফতেখার ও নাবিল, যোগ করেন ৭৬ রান। এই জুটিতে ১০২ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৫২ বলে ৫টি চারে ৩৩ রান করা নাবিলের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
এরপর বাকি কাজটুকু সেরেছেন ইফতেখার ও আইচ মোল্লা। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮৯ বলে ৭টি চারে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইফতেখার। আইচ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। কানাডার পার্মবীর খারোদ ও ইথান গিবসন একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা কানাডার ইনিংসে অনুপ চিমার নামটি বড় করে। অন্য প্রান্তে ভাঙনের সুর বাজতে থাকলেও ঠান্ডা মাথায় দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। ১১৭ বলে ৭টি চারে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন অনুপ। এ ছাড়া অধিনায়ক মিহির প্যাটেল ১১, মোহিত প্রসার ১২ ও কায়রাভ শর্মা ১৪ রান করেন।
বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ৮.৩ ওভার বোলিং করা রিপন ৪ উইকেট নিতে মাত্র ২৪ রান খরচা করেন। মেহরব ১০ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নেন। বাকি ২ উইকেট নেন আশিকুর রহমান, ৯ ওভারে তার খরচা ২১ রান।