খালেদের তাণ্ডব সামলে জয়ের পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম ইনিংসটা আরেকটু বড় হলে জয়ও মিলতে পারতো, বাংলাদেশ দলে এখন হয়তো এমন আক্ষেপই। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হওয়ার পরও মেলে ৮৩ রানের লিড। অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছোট লক্ষ্য দিয়েও বল হাতে বাংলাদেশ যেভাবে শুরু করে, কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আশার আলোর দেখা মেলে। ৯ রানের মধ্যেই ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেট তুলে নেন খালেদ আহমেদ।
যদিও ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ পেসারের তোপ সামলে জয়ের পথেই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ উইকেটে ৪৯ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য তাদের দরকার আর ৩৫ রান। ক্যাম্পবেল ২৮ ও ব্ল্যাকউড ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।
ছোট পূঁজি হলেও শুরুতেই ক্যারিবীয়দের চেপে ধরে বাংলাদেশ। যার পুরো কৃতিত্ব খালেদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দিক ভুলিয়ে দেন ডানহাতি এই পেসার। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্রাথওয়েটকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন খালেদ। সহজেই ক্যাচটি গ্লাভসবন্দি করেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান।
এই ওভারেই দ্বিতীয় আঘাতটি হানেন খালেদ। শেষ বলে রেমন রেইফারকেও একই ধাঁধায় ফেলেন তিনি। দারুণ লেংন্থ ডেলিভারি করেন খালেদ, শেষ মুহূর্তে গিয়ে ছাড়ার চেষ্টা করেও আর পারেননি রেইফার। বল গিয়ে জমা হয় সোহানের হাতে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন খালেদ। এই ওভারের পঞ্চম বলে এনক্রুমা বনারের স্টাম্প উপড়ে নেন তিনি।
৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন অন্ধকারে। এখান থেকে দলের হাল ধরেন ক্যাম্পবেল ও ব্ল্যাকউড। দ্রুত উইকেট পতনের পরও ২২ গজে থিতু হতে সময় নেননি এ দুজন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৪০ রানের অবিচ্ছন্ন জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেন তারা।
এর আগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও নুরুল সোহান। প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা সাকিব এই ইনিংসে করেন ৬৩ রান। সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান। এ ছাড়া তামিম ইকবাল ২২, মাহমুদুল হাসান জয় ৪২, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭ ও লিটন কুমার দাস ১৭ রান করেন। ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ ৫টি উইকেট নেন। আলজারি জোসেফ ৩টি ও কাইল মেয়ার্স ২টি উইকেট পান।