বরিশালে ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, তলিয়ে গেছে শহর
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বরিশাল নগরীসহ আশপাশের এলাকা।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকেই টানা বৃষ্টিতে দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি। প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বৃষ্টিতে ভিজে কিছু মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে।
এদিকে, লঞ্চ বন্ধ থাকলেও বরিশাকে বাস চলাচল করছে। তবে যাত্রী সংখ্যা খুবই সিমিত।
আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, 'দুপুর ১২টা নাগাদ ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাত নাগাদ এই বর্ষণ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
এখন পর্যন্ত দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার গতি রেকর্ড করা হয়েছে বাতাসের। সেইসাথে বরিশাল নদী বন্দরে ৩ নম্বর ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'অভ্যন্তরীণ সকল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নৌযানের নিরাপত্তায় সকলকে নিরাপদে নোঙর করতে বলা হয়েছে। স্পীডবোট, ট্রলার সকাল থেকেই বন্ধ করা হয়েছে।'
বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ভারি বর্ষণে অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে।
ইউসুফ নামক এক রিকশাচালক বলেন, 'সকালে বৃষ্টি কিছুটা কম ছিল। তখন দুএকজন যাত্রী পেয়েছি। কিন্তু দুপুরের পর এত বেশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাস্তায় একজন লোকও পাচ্ছি না।'
তিনি বলেন, অনেক রাস্তায় হাঁটুসমান বা তারচেয়ে বেশি পানি জমেছে।
রফিকুল ইসলাম নামক এক শ্রমিক জানান, 'প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আজকে রোজগার করতে পারিনি। বিকেলে বৃষ্টি কমলে বিকেলে চেষ্টা করবো। এখন বৃষ্টি কমে আসার অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।'
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, বৃষ্টিতে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম। যাত্রী হলে বাস ছাড়া হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, বৃষ্টির পানি যেন আটকে না থাকে এজন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক পরিচ্চন্ন কর্মীরা কাজ করছেন। দ্রুত পানি অপসারণে তারা ড্রেন পরিচ্ছন্ন করছেন। কোথাও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তা সরিয়ে দিচ্ছেন।