সিটের নিচ থেকে সোনার বার উদ্ধার: চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ জব্দ
দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের সিটের নিচ থেকে ২০টি সোনার বার উদ্ধারের ঘটনায় উড়োজাহাজটি জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উড়োজাহাজটির একটি আসনের নিচ থেকে ২ কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের সোনার বার বার উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামে বিমানবন্দরে সোনার বার উদ্ধারের ঘটনায় উড়োজাহাজ জব্দের ঘটনা এটিই প্রথম বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তবে উড়োজাহাজটি জব্দ করা হলেও এটি চালাচলে বাধা নেই বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, চোরাচালানের পণ্য বহন করায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী এ উড়োজাহাজ জব্দ করা হয়েছে।
এ অবস্থায় যাত্রী পরিবহনের জন্য উড়োজাহাজটি ব্যবহার করা যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাত্রী পরিবহনের স্বার্থে ন্যায় নির্ণয়কারী কর্মকর্তা চাইলে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জিম্মায় দিতে পারেন।
উড়োজাহাজটির যেই আসনের নিচ থেকে সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে, সেই আসনে ছিলেন আতিয়া সামিয়া নামের এক যাত্রী। তার বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায়। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে 'ওশেন গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি' নামের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি অনলাইনে সোনা বিক্রি করেন।
আজ সন্ধ্যায় কাস্টমস গোয়েন্দা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চোরাচালানের সোনার বার পরিবহন করায় উড়োজাহাজটিও চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত। তাই সোনার বারগুলো জব্দের পাশাপাশি উড়োজাহাজটিও কাস্টমস আইন অনুযায়ী জব্দ করা হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, উড়োজাহাজটি আজ সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে চলে গেছে। বিমানকে জবাবদিহির আওতায় আনতে কাগজে-কলমে জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা। তবে উড়োজাহাজটির যাত্রী পরিবহনে বাধা নেই।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, সোনার বারগুলো শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব বারের বাজারমূল্য ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।