ঘুষ দেওয়ার জন্য ট্রাম্প কারাদণ্ড প্রাপ্য না: স্টর্মি ড্যানিয়েলস
সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু স্টর্মি এখন বলছেন, এই ঘুষ দেওয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারাদণ্ড প্রাপ্য নয়। খবর বিবিসির।
মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেন, 'আমি মনে করি না, আমার বিরুদ্ধে তার অপরাধ কারাদণ্ডের যোগ্য।'
ম্যানহাটনের একটি আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন।
অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ট্রাম্পের। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের আইনজীবী স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন।
আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্পের এই ঘুষপ্রদান কর ফাঁকির আওতায় পড়ে। কারণ এই লেনদেনের বিষয়টি ট্রাম্প তার হলফনামায় গোপন করেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে স্টর্মি বলেন, ট্রাম্প তাকে ঘুষ দেওয়ার যে কাজটি করেছেন, তাতে তার কারাভোগের শাস্তি পাওনা নয়।
যদিও অন্যান্য অপরাধ প্রমাণ হলে ট্রাম্পের কারাগারে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন স্টর্মি।
ঘুষ দেওয়া ছাড়াও অন্যান্য ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। সেসবের মধ্যে আছে গোপনীয় জিনিসের অপব্যবহার, জর্জিয়ার একটি নির্বাচনের ফল বদলে দেয়ার চেষ্টা এবং ক্যাপিটল ভবনে হামলায় তার ভূমিকা।
আসন্ন বিচারকাজে সাক্ষ্য দেবেন কি না, জানতে চাইলে স্টর্মি ড্যানিয়েলস জানান, তিনি 'অবশ্যই' সাক্ষ্য দেবেন। 'আমার তো লুকানোর কিছু নেই। একমাত্র আমিই সত্যি কথা বলছি,' বলেন তিনি।
স্টর্মি ড্যানিয়েলস জানান, ট্রাম্পকে আদালতকক্ষে প্রবেশ করতে দেখে মিশ্র অনুভূতি হয়েছিল তার। তবে তিনি ট্রাম্পের জন্য তার দুঃখই হয়েছে বেশি।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ট্রাম্পই প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন।
আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তার আগে সাবেক পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার এই মামলা তাকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।