আশা জাগিয়েও হারল বাংলাদেশ, সমতায় শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ
অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করল বাংলাদেশ। তবে সেটি যথেষ্ট হলো না। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই বৃষ্টি চলে আসায় থেমে যায় খেলা। আর তখন ডিএলএসের নিয়ম অনুযায়ী, ১৭ রানে এগিয়ে ছিলো কিউইরা। এই ব্যবধানেই জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতায় ফিরেছে স্বাগতিকরা। সিরিজটি শেষও হলো ১-১ এর সমতাতেই।
আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ মাত্র ১১০ রান করলেও সেটি তাড়া করতে গিয়ে ঘাম ছুটে গেছে নিউজিল্যান্ডের। যদিও প্রথম ওভারেই ১২ রান নিয়েছে কিউইরা। তবে দুর্দান্ত শুরু করা নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১৬ রানেই।
দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে টিম সেইফার্টকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদি হাসান। সাইফার্ট, মিচেল, ফিলিপস, চ্যাপম্যান প্রত্যেকেই আউট হয়েছেন মাত্র এক রান করে। তখন পর্যন্ত দুই অঙ্ক পেরোনো একমাত্র ব্যাটসম্যান ফিন অ্যালেনকে বোল্ড করে কিউইদের বিপদ আরও বাড়ান শরীফুল। ৩১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন অ্যালেন।
৫০ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের হাল ধরেন জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৭ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রান হওয়ার পরই শুরু হয় বৃষ্টি। তখন বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে ছিল ১৭ রানে। এরপর আর খেলা না হওয়ায় জিতে যায় কিউইরা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়।
সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে খেলতে নেমে অল্পতেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। সিরিজে সমতা ফেরাতে কিউইদের সামনে মাত্র ১১১ রানের লক্ষ্য দেয় নাজমুল হাসান শান্তর দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের কাছে নাকাল হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেছেন অধিনায়ক শান্ত, তাওহিদ হৃদয় ১৬ ও আফিফ করেছেন ১৪ রান।
নিউজিল্যান্ডের পেস-স্পিন দুটোতেই কাবু হয়ে মাত্র ১১০ রানেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের দলের ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামানোর মূল কাজটা করেছেন কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার, মাত্র ১৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স৷