নির্বাচনে হারলে টুইটারের বিশেষ সুবিধাও হারাবেন ট্রাম্প
জানুয়ারি থেকে প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুই হারাতে হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে হেরে গেলে সংবাদমূল্য হিসেবে তার টুইটারবার্তাকে আলাদা সুবিধা দেয়া হবেনা বলে জানিয়েছে টুইটার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির নীতি অনুযায়ী, আড়াই লাখের বেশি অনুসারীসহ কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অ্যাকাউন্টকে সংবাদমূল্যের কারণে আলাদা সুবিধা দেয়া হয়।
এই নীতি অনুযায়ী, বিশেষ সুবিধার অ্যাকাউন্টের বার্তাগুলো মুছে দেয়ার বদলে বার্তাগুলোর ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেয়া হয়। গত এক সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তত ১২টি বিভ্রান্তিকর বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে টুইটার জানিয়েছে, তাদের এই নীতি কোনো সাবেক জনপ্রতিনিধির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাদের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও সাধারণ নীতি অনুসরণ করা হবে।
অর্থাৎ, টুইটারের নীতি বিরোধী কোনো বার্তার কারণে ভবিষ্যতে ট্রাম্পের বার্তাও মুছে দেয়া হবে, নিয়মিত নীতি ভঙ্গ করলে অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়ার সম্ভাবনাও আছে।
নির্বাচনে হেরে গেলে তাই ট্রাম্পকে হয় তার এ ধরণের বার্তা দেয়া বন্ধ করতে হবে, নতুবা টুইটার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী তার অ্যাকাউন্ট বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
এদিকে জানুয়ারির আগেই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রণয়নের পক্ষে কথা বলেছেন আইন প্রণেতা ও মানবাধিকার কর্মীরা।
বুধবার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধের দাবি জানিয়ে টুইটারকে বার্তা দেয় ডেমোক্র্যাট পার্টির গেরি কনোলি। ট্রাম্পের নির্বাচনে ভোটচুরির চেষ্টার ব্যাপারে দেয়া টুইটার বার্তা নিয়ে তিনি বলে 'এটি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। এখনো ভোট গণনা চলছে। আমরা রাশিয়া না, আমেরিকায় বাস করি।'
লয়ার'স কমিটি ফর সিভিল রাইটস আন্ডার ল' এবং কমন কজ সংস্থা ভুল তথ্য প্রকাশের জন্য ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে বন্ধ করার দাবি জানিয়ে চিঠি দেয় টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরোসিকে।