‘সিনোভ্যাকের ট্রায়ালের অনুমতি না দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল’
চীনের তৈরি 'সিনোভ্যাকের ট্রায়ালের অনুমতি না দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল,' বলে মন্তব্য করেছেন করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ডা. নজরুল ইসলাম।
দেশের এই শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন ট্রায়াল দিলে আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার একটা সুযোগ থাকত। আর আমাদের ভ্যাকসিনের যদি ডিফারেন্ট সোর্স থাকত, তাহলে ভারতে এ রকম আচরণ করত না।'
ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, 'সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ট্রায়ারের আবেদন করল, আমরা যাচাই-বাছাই করে তা বাদ দিলাম। আমরা বললাম, সিনোভ্যাক ট্রায়ালের জন্য টাকা চাচ্ছে; কিন্তু তারা তো শুরুতে টাকা চায়নি। ট্রায়ালের অনুমতি দিতে কযেকমাস দেরি হওয়ায় তারা অন্য দেশে ট্রায়ালে অর্থ ব্যয় করে ফেলেছে; তাই টাকা চেয়েছে।'
'সিনোভ্যাক আর অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের দুটো ধরন আলাদা। কিন্তু সিনোভ্যাকও তো কার্যকর ভ্যাকসিন। বিভিন্ন দেশে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ভ্যাকসিনের একটি সোর্সের ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এতদিন বলে এলেন, জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন আসবে; এখন সে ভ্যাকসিন কবে আসবে বলা যাচ্ছে না।'
'মানুষকে এখন ভ্যাকসিনের আশায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে চলবে না, মাস্ক পরতে হবে,' জোরের সঙ্গে বলেন অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।