সাদমানের জায়গায় সাইফ কেন, ব্যাখ্যা দিলেন ডমিঙ্গো
শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগ মুহূর্ত পর্যন্তও কেউ ভাবেনি একাদশে সাইফ হাসান সুযোগ পাবেন। কিন্তু একাদশে ডানহাতি ওপেনারকেই নেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে ভালো করার পরও সাদমান ইসলামের বদলে সাইফকে নেওয়ায় শুরু হয় সমালোচনা।
বাংলাদেশের দারুণ ব্যাটিংয়ে বিষয়টি চাপা পড়লেও দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাসেল ডমিঙ্গোকে পেয়ে বিষয়টি সামনে আনলেন সাংবাদিকরা। জাতীয় দলের প্রধান কোচের কাছে প্রশ্ন রাখা হলো, কেন এই সিদ্ধান্ত? দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ জানালেন, আঙুলের চোট থেকে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় এবং চট্টগ্রাম টেস্টের পর কোনো ম্যাচ না খেলায় সাদমানের বদলে সাইফকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন সাদমান। যদিও পরের ইনিংসে রান পাননি বাঁহাতি এই ওপেনার, ৫ রান করেই বিদায় নেন। এরপর আঙুলের চোটে ছিটকে যান সাদমান, খেলতে পারেননি দ্বিতীয় টেস্ট।
এরপর আর কোথায় ম্যাচ খেলা হয়নি সাদমানের। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় জাতীয় লিগেও খেলতে পারেননি বাংলাদেশের এই ওপেনার। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচের পরীক্ষায় পাস করা ও চট্টগ্রাম টেস্টের হাফ সেঞ্চুরির কারণে লঙ্কা সফরে সাদমানকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছিল।
সেটা হয়নি, একাদশে সুযোগ পাওয়ার লড়াইয়ে সাইফ এগিয়ে গেছেন বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলে। আয়ারল্যান্ড 'এ' দল ও জাতীয় ক্রিকেট লিগে বেশ কয়েকটি লঙ্গার ভার্সনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যেখানে রানও পেয়েছেন সাইফ। জাতীয় লিগের দুই ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। সেখানে সাদমান পুরোপুরি ফিটই হয়ে উঠতে পারেননি। সব মিলিয়েই সাইফকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডমিঙ্গো।
দ্বিতীয় দিন শেষে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রোটিয়া এই কোচ বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ করার পর কোনো ম্যাচই খেলেনি সাদমান। তার আঙুলের চোটের বিষয়টিও ছিল। সম্প্রতি বেশ কিছু ম্যাচে সাইফ খুবই ভালো করেছে। টপ অর্ডারে বাঁহাতি-ডানহাতি সমন্বয় থাকাটা ভালো ব্যাপার। সেরা চারে আমাদের বেশ কয়েকজন বাঁহাতি রয়েছে।'
প্রথম টেস্টে জায়গা না হলেও সাদমান ভালোভাবেই বিবেচনায় আছেন বলে জানালেন প্রধান কোচ। তার ভাষায়, 'সাদমান ভালোভাবেই দৃশ্যপটে আছে। দলে বেশ কিছু অপশন থাকাটা আমাদের জন্য খুবই ভালো ব্যাপার। আমি সাদমানের ব্যাপারটা বুঝতে পারি, তবে সে দুই-আড়াই মাসে একটি ম্যাচও খেলেনি। আমার মনে টেস্টের আগে পাওয়া সময় তার ভালোই কাজে লাগবে।'
রান করে একাদশে জায়গা করে নিলেও ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি সাইফ। পাল্লেকেলে টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। বিশ্ব ফার্নান্দোর একটি লেংন্থ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় সাইফকে।