টোকেন নাই, টিকা নাই
গণটিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই এটাকে অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কেউবা বলছেন শৃঙ্খলার স্বার্থে এটা ভাল কাজ দিচ্ছে।
তবে সাধারণ মানুষ বলছে, স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে নেওয়া টোকেন ছাড়া সাধারণ মানুষ টিকা পাননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেছেন, জনপ্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব বলয়ের লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে টোকেন দিয়েছেন। ফলে যারা টিকাদান কেন্দ্রে নিজ দায়িত্বে এসেছেন, তাদেরকে টিকা ছাড়াই ফেরত যেতে হয়েছে।
টিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ২৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, পঞ্চাশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু টোকেন না থাকায় ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন অনেকে।
চট্টগ্রাম
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার টিকা কেন্দ্র সিডিএ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকশ নারী-পুরুষ আলাদা দুটি লাইনে টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। যারা ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। কিন্তু সকাল সাড়ে আটটার দিকে "কাউন্সিলরের লোক" পরিচয়ে কয়েকজন এসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নারী-পুরুষ ও বয়োবৃদ্ধদের সরিয়ে দেয়।
ভোর পাঁচটা থেকে টিকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন তালুকদার।
তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ফেব্রুয়ারী মাসে টিকার জন্য নিবন্ধন করিয়েছিলাম। কিন্তু মেসেজ আসেনি। তাই আজ জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সবার আগে এসেছি। কিন্তু কাউন্সিলের লোকজন বলছে টোকেন নিয়ে আসতে হবে; নয়তো টিকা মিলবে না। সরকার এমন কোনো বিশেষ টোকেনের ঘোষণা দিয়েছে বলে আমার জানা নেই।"
টিকা কার্যক্রম শুরুর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারীদেরও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কিন্তু সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা নিজেদের কাউন্সিলরের লোক পরিচয় দিয়ে বিশেষ টোকেন ছাড়া লাইনে দাঁড়ানোদের বের করে দেন।
গৃহকর্মী নুরজাহান বলেন, "সকালে কাজে যাওয়ার আগে টিকা দিতে চাইছিলাম। টিভিতে শোনা নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে এনেছি। কিন্তু আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে; আমার নাকি টোকেন নাই।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এখানে লাইন ধরার কোনো বিষয় নেই। যাদের টোকেন দেওয়া আছে ওরাই আসবে।"
এই টোকেন কারা পেয়েছে জানতে চাইলে কাউন্সিলর এসরারুল বলেন, "নিবন্ধন করে যারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে।"
তবে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো টোকেনের নির্দেশনা নেই।
এ সময় টিকার জন্য অপেক্ষায় থাকা অন্তত অর্ধশত মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায় ওই বিশেষ টোকেন তাদের কেউ পায়নি।
আইটি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, "ছোট বোনকে নিয়ে টিকা নিতে এসেছি। কিন্তু কাউন্সিলরের লোকজন তাদের পছন্দের মানুষদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সাধারণ মানুষকে টিকা নেই বা পরে আসুন বলে ভাগিয়ে দিচ্ছে।"
সকাল সাড়ে নয়টায় ৩ নং ওয়ার্ডের টিকা কেন্দ্র আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, টিকা পাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করছে কয়েকশত মানুষ। কথিত ভলান্টিয়াররা তাদের পছন্দের মানুষকে টিকা পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এসময় ভলান্টিয়ার ও টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
সকাল ১০টার দিকে ৭ নং ওয়ার্ডের হামজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, টিকা প্রার্থীদের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু সবার হাতেই বিশেষ টোকেন। হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে টোকেনবিহীন টিকা প্রার্থীদের চলে যেতে বলা হচ্ছে।
সুফলা চাকমা নামে এক নারী বলেন, "আমরা সরকারি চাকরি করি। ঘোষণা অনুযায়ী এনআইডি কার্ড নিয়ে টিকা নিতে এসেছি। কিন্তু টোকেন না থাকায় টিকা পাচ্ছি না।"
"কাউন্সিলর যে টোকেন দেবেন তা তো আমাদের জানানো হয়নি। এমনকি একটা ব্যানার টাঙানো হলেও আমরা জানতে পারতাম," যোগ করেন।
সামরিন আরেফিন নামে এক নারী বলেন, "আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর (৭ নং) জানিয়েছিলেন যারা নিবন্ধন করে এসএমএস পাননি তারাও টিকে দিতে পারবে। অথচ টিকাকেন্দ্রে চলছে উল্টো চিত্র! আমি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে গিয়েও টিকা দিতে পারিনি। অথচ বাইরে থেকে অনেকে টিকা দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশে কি সর্বক্ষেত্রেই অনিয়ম বিশৃঙ্খলা চলতে থাকবে?"
সংবাদকর্মী আকমল হোসাইন বলেন, "এক মহিলা জনপ্রতিনিধির মেয়ে-ছেলেসহ কত নেতাকর্মী যে টিকা নিয়েছে তার হিসেব নাই। কিন্তু ভোর ৪টায় লাইনে দাঁড়ানো মানুষচগুলো টিকা না পেয়ে ফেরত গেছেন। তাদের ভাবটা এমন, জনপ্রতিনিধিদের পরিবার ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের দেয়ার পর বাঁচলে সাধারণ মানুষ পাবে। এভাবে মানুষকে হয়রানি করার অর্থ নেই"।
এ বিষয়ে সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "স্থানীয়দের সুবিধার কথা বিবেচনা করে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়েছি। টোকেনের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কেনো নির্দেশনা নেই। সাধারণ মানুষ টিকা পায় নি। বিষয়টি খুব দুঃখজনক ও অমানবিক।"
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের একমাত্র কেন্দ্র হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকার বরাদ্দ ছিল ৬০০ ডোজ। অথচ এই কেন্দ্রে শতাধিক মানুষ ইউপি সদস্যদের দেওয়া টোকেনের মাধ্যমে টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ইউপি সদস্যদের নিজেদের আত্মীয়-স্বজন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মাহফুজ মিয়া, ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আশরাফ ও ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. কাউসার আহমেদের দেওয়া টোকেনে অর্ধশতাধিক মানুষ টিকা নিয়েছেন।
লাইনে না দাঁড়িয়েও বুথের ভেতর গিয়ে টোকেন দেখালেই দেওয়া হয়েছে টিকা। এছাড়াও কিছু কিছু কেন্দ্রে দুপুর ১২টার মধ্যেই বরাদ্দকৃত টিকা শেষ হয়ে যায়। এর ফলে টিকার জন্য নিবন্ধন করা অনেককেই টিকা না নিয়ে ফিরতে হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে হরষপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আশরাফ বলেন, "আমাদের এখানে ১৪ হাজার নিবন্ধন করেছে। কিন্তু টিকা পাবে মাত্র ৬০০ জন। সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদানের জন্য টোকেন ব্যবস্থা করা হয়েছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এটি করা হয়েছে"।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, "একটি ইউনিয়নে ৩টি বুথের মাধ্যমে ৬০০ জন টিকা নিতে পারবেন। সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা সবাই মিলেই বিষয়টি ম্যানেজ করবে। টোকেন দিয়ে যদি সুশৃঙ্খল হয়, সেটিও করা যাবে"।
বগুড়া
বগুড়ায় প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের কাছ থেকে এই টোকেন সংগ্রহ করতে হয়েছে টিকাগ্রহীতাদের। কেন্দ্রে গেলেই টোকেন দেখে টিকা দেওয়া হয়েছে।
নিবন্ধন ছাড়া এভাবে টিকা দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
বগুড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামী মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে এসেছেন কাজলী বেগম (৪৮)। তিনি জানান,"কাউন্সিলর অফিস থেকে টোকেন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রে আসার পর সময় লাগেনি। টিকা দেয়ার পর কোন সমস্যা হয়নি। আগে কোনো নিবন্ধন করা ছিল না আমার।"
চেলোপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের বয়স ৫৮। তিনিও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে টিকা নিতে এসেছেন। জলিল বলেন, "কেন্দ্রে আসার পর এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্রের কাছ থেকে টোকেন সংগ্রহ করেছি। এরপর এই টোকেন কেন্দ্রে দেখালেই টিকা দিয়েছে"।
একই টিকা কেন্দ্রে আসা দেবব্রত (৫৫) জানান, "আমি কেন্দ্রে এসে নাম এন্ট্রি করে টিকা গ্রহণ করেছি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়নি"।
পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঠনঠনিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে টিকা দিতে আসা মোস্তফা জানান, "আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করার পর তিনি আমাকে স্লিপ দিয়েছেন। কেন্দ্রে আসার পর আমার ভোটার আইডি ও স্লিপ দেখার পর টিকা দেয়া হয়েছে"।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, "আমি দুপুরের আগেই ৩০০ জনের বেশি মানুষকে টোকেন দিয়েছি। সাথে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র এনেছেন। এই দুটো কাগজ দেওয়ার পর তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে সার্ভারে কিছু নিবন্ধনও করা হচ্ছে"।
জেলা সিভিল সার্জন মো. গওসুল আজিম চৌধুরী বলেন, "আজকে সার্ভার ডাউনের কারণে এভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে টিকাগ্রহীতাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে কম্পিউটারে তাদের ডাটা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো আমরা ঢাকায় পাঠাব। তখন সিস্টেম সেগুলো নিবন্ধন করে ফেলবে। এছাড়া কোনো উপায় ছিল না"।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ১ ঘন্টা টিকা প্রদানের পর টোকেন ছাড়া অন্য কাউকে টিকা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। পরে টোকেন ছাড়া অন্যদেরকে অন্যদিন টিকা নেয়ার পরামর্শ দেয় দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী।
কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ হিরণ জানান, "প্রথম দিনে টিকা নিতে এসে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে নিবন্ধন সম্পন্নকারীদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বাড়তি সিরিয়াল টোকেন দেয়া হয়েছে"। কিন্ত কিসের ভিত্তিতে টোকেন দেয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, "প্রথম দিনে প্রতি কেন্দ্রে ২০০ লোককে টিকা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়াও বাড়তি একটি টোকেন দেয়ার নির্দেশনা ছিল। তবে সেখানে বয়স্ক নারী-পুরুষদেরকে ওই টোকেন দিতে নির্দেশনা ছিল। কিন্ত কোন ইউনিয়ন পরিষদ যদি এর ব্যতিক্রম করে থাকে তা ভবিষ্যতে দেখা হবে"।
কুমিল্লা
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম কাশিনগর ইউপির বাসিন্দা আবুল বাশার রানা জানান, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই কাশিনগর কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তবে টিকা না দিতে পেরে ফিরে গেছেন অন্তত দুই হাজার মানুষ।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের দৌলখাঁড় ইউপির মো. জাবেদ জানান, চেয়ারম্যান-মেম্বাররা নিজেদের লোক বাছাই করে কেন্দ্রে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। এ কারণে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়লে বেশ কিছুক্ষণ ওই কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে আবার চালু হয়।
কুমিল্লার বরুড়ার লক্ষ্মীপুর ইউপির পেরুল কেন্দ্রে এক স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় জনগণ তার ওপর হামলা করে বলে জানা গেছে। তবে বরুড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা নিশাত সুলতানা জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন বলেন, "প্রভাবশালীদের ঠেকানো সত্যিকার অর্থেই কঠিন। সারাদেশে এমন কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটান প্রভাবশালীরা। হামলার বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি"।
তবে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, "কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সুন্দর। কোথাও হামলা বা প্রভাবশালীদের প্রভাব খাটানোর ঘটনা ঘটেনি। এগুলো মানুষের অপপ্রচার"।