প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন
দেশের সার্বিক রপ্তানি পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ রপ্তানি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে 'রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি' গঠন করেছে সরকার।
৪৪ সদস্যের এই কমিটিতে অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১১ জন মন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ১৬ জন শীর্ষ নির্বাহী ও রপ্তানিমুখী খাতগুলোর ১৬টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতিদের রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজনীন পারভীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক রপ্তানি পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি টেকসই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে রপ্তানি পদ্ধতি, রপ্তানিতে উৎসাহ প্রদান ও রপ্তানি দ্রব্য উৎপাদন সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা করে সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি।
রপ্তানি ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যার পাশাপাশি নতুন করে কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে তা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত দেবে এই কমিটি।
এছাড়া রপ্তানির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গঠিত এই কমিটি নিয়মিতভাবে বৈঠকে মিলিত হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছর রপ্তানিখাতে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক রয়েছে, যা আগামী অর্থবছরও অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতে রপ্তানিখাতে নতুন নতুন সংকট আসতে পারে, সেগুলোর তাৎক্ষণিক সমাধানে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া, ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে জিএসপি সুবিধা বাতিল হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়েও এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
এলডিসি গ্রাজুয়েশনের আগেই বেসরকারিখাতের সক্ষমতা বাড়ানো, রপ্তানিমুখী খাতগুলোতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।