৮ বছর পর একাদশে ফিরেই বিজয়ের রেকর্ড
অপেক্ষা ফুরালো, স্বপ্নের ঠিকানা জাতীয় দলে নতুন পথচলা শুরু হয়ে গেল এনামুল হক বিজয়ের। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে পরে টেস্ট দলেও নেওয়া হয়। এবার একাদশেও জায়গা মিললো তার। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে বাদ দিয়ে বিজয়কে দলে নেওয়া হয়েছে।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টে একাদশে জায়গা পাওয়ার মধ্য দিয়েই একটি রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে বিজয়ের। যদিও এমন রেকর্ড কোনো ক্রিকেটারেরই প্রত্যাশিত নয়, তবু রেকর্ডটি তার নামের পাশে বসে গেল। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলতে নামলেন তিনি। অর্থাৎ, দুই টেস্ট খেলার মাঝে বিজয়ের বিরতিটা সবচেয়ে লম্বা।
৭ বছর ৯ মাস ১১ দিন পর টেস্টে ফিরলেন বিজয়, যা বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড বিরতি। এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারের বেলায় দীর্ঘতম বিরতি ছিল পেসার নাজমুল হোসেনের। সাবেক ডানহাতি এই পেসার ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর অভিষেক টেস্ট খেলার পর নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেন ২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর। ঠিক ৭ বছর বিরতির পর পরের টেস্ট খেলতে নামেন তিনি। বিজয়ের বিরতিটা তার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৯ মাসের বেশি।
জাতীয় দলের হয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সেন্ট লুসিয়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন বিজয়। ৮ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেন্ট লুসিয়াতেই সাদা পোশাকে প্রত্যাবর্তন হলো ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের। বাকি দুই ফরম্যাটেও নিয়মিত ছিলেন না বিজয়। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের শেষ ওয়ানডে খেলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে বিজয় সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০১৫ সালে।
দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে বিজয় জানান, টেস্ট ক্রিকেটই তার সবচেয়ে প্রিয় ফরম্যাট। ব্যাট হাতে ভালো করে এই ফরম্যাটের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দিতে মুখিয়ে আছেন তিনি। লঙ্গার ভার্সন যে তার পছন্দ, তা প্রমাণও করে দেখিয়েছেন বিজয়। এই ফরম্যাটে ১০৫ ম্যাচে ৪৫.৩২ গড়ে ৭ হাজার ৪৭৯ রান করেছেন তিনি, আছে ২২টি সেঞ্চুরি।
এবার অবশ্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন বিজয়। ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসরে রানের বন্যা বইয়ে দেন তিনি। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৫ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৮১.২৮ গড়ে ১ হাজার ১৩৮ রান করেন। তাতে রীতিমতো ইতিহাস গড়া হয়ে যায় তার। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাজার রানের সীমানা ছাড়িয়ে যান বিজয়।