ভালোবাসার খোঁজে তাইওয়ান থেকে জাপানে গেল গন্ডার!
একটি পাঁচ বছর বয়সী সাদা গন্ডার তাইওয়ান থেকে জাপান পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে শুধুমাত্র ভালোবাসার খোঁজে।
এমা নামের সেই গন্ডার এখন থেকে জাপানের 'টবু' চিড়িয়াখানায় বসবাস শুরু করেছে। কিন্তু সে একা নয়, সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে ১০ বছর বয়সী আরেক গন্ডার 'মোরান'কে।
এমার 'কোমল স্বভাবে'র কারণে ২৩টি গন্ডারের মধ্য থেকে তাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল জাপানে পাঠানোর জন্য। কর্মীরা জানিয়েছেন, এমা সহজে কারও সাথে ঝগড়াঝাঁটি করে না।
এশিয়ায় সাদা গন্ডারের বংশবৃদ্ধি (বন্দী অবস্থায়) করানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাকে এই চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সাদা গন্ডার বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তপ্রায় একটি প্রাণী। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) তথ্যানুযায়ী, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে মাত্র ১৮০০০টি সাদা গন্ডার রয়েছে।
তাইওয়ানের লিওফু সাফারি পার্ক থেকে ১৬ ঘণ্টার দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে মঙ্গলবার জাপানে এমার আগমন ঘটে।
সাইতামা টবু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, 'করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা দেরি হলেও, এমা নামের সাউদার্ন সাদা গন্ডারটি ৮ জুন সন্ধ্যায় চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছেছে। আমরা ধীরে ধীরে তার শোবার ঘরের সামনে কন্টেইনারটি খুলেছি। এমা কোনোরকম দ্বিধা না করেই সোজা তার ঘরে ঢুকে গেছে।'
যদিও এমার আসার কথা ছিল গত মার্চে, কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অন্যান্য লাখো মানুষের মতো এই গন্ডারের যাত্রায়ও বাধা পড়ে।
তবে এই বিলম্বিত সময় বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে এমা। এই সময়ের মধ্যে তাকে জাপানি ভাষায় 'আসো' ও 'না' শুনতে অভ্যস্ত করানো হয়েছে।
লিওফু সাফারি পার্কের কর্মীরা আরও জানান, এমার ছোটখাটো আকৃতিও তার অন্য দেশে স্থানান্তরিত হওয়া সহজতর করেছে।
বিভিন্ন কারণে গন্ডার প্রজাতির বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। গন্ডার চোরাশিকার করা এর মধ্যে একটি মূল কারণ।
কেরাটিনে তৈরি বলে ক্যানসার সারাতে সাহায্য করবে ভেবে চোরাবাজারে গন্ডারের শিংয়ের কদর রয়েছে; যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি।
-
সূত্র: বিবিসি