৪ জনের কোমর ও ঘাড় ভাঙার পর বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী রোলার কোস্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত
এই মাসের শুরুতে জাপানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী রোলার কোস্টার ডো-ডোডোনপায় চড়ে চারজন ব্যক্তি হাড় ভাঙার পর কর্তৃপক্ষ এটিকে বন্ধ ঘোষণা করেছে। জাপানের সংবাদপত্র মাইনিচি এই খবর নিশ্চিত করেছে।
ফুজিয়োশিদা শহরের ফুজি-কিউ হাইল্যান্ড বিনোদন পার্কের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এই রোলার কোস্টার। এতে চড়ে এর আগে আরও দুইজন ব্যক্তির হাড় ভাঙার খবর প্রকাশ করেছিল ভাইস নিউজ।
দ্রুতগাতির এই রোলার কোস্টারটি মাত্র ১.৫৬ সেকেন্ডে ১১২ মাইল গতিতে ঘুরতে পারে। ফুজি-কিউ'এর ওয়েবসাইটে কোস্টারের এই গতিকে বলা হয়েছে "সুপার ডেথ"। এছাড়া ১৩০ ফুট ব্যাসওয়ালা এই কোস্টারকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রোলার কোস্টার হিসেবেও দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
২০০১ সালে যখন কোস্টারটি প্রথম বানানো হয়েছিল তখন এর গতি ছিলো ঘণ্টায় ১০৬ মাইল। তবে, ২০১৭ সালে এর গতি বৃদ্ধি করে ঘণ্টায় ১১২ মাইল করা হয়।
দুর্ঘটনার মুখে পার্ক কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার (২০ আগস্ট) কোস্টারটি বন্ধ করে দেয়। তবে সেই সঙ্গে তারা বলেছে, "দুর্ঘটনা এবং বিনোদনের মাধ্যমের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নিশ্চিত করা যায়নি।"
এ বছরের মে মাস থেকে জুন মাসের মাঝে ঘটা দুর্ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে পার্ক কর্তৃপক্ষ রোলার কোস্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে; কিন্তু কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই মাসের শুরুতে ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি কোস্টারে চড়ে হাড় ভাঙার পর পরই এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
অনুমান করা হচ্ছে, কোস্টারে সঠিকভাবে না বসার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাইনিচি সংবাদপত্রকে ৩০ বছর বয়সী আরেক নারী ভুক্তভোগী জানান, রাইডারটি চালু হওয়ার পর পিছনে হেলান দিয়ে বসা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তিনি সামনের দিকে ঝুঁকে ছিলেন। এ কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
রোলার কোস্টারে এ রকম দুর্ঘটনা খুব একটা স্বাভাবিক নয়। দ্য গ্লোবাল এসোশিয়েসন অফ দ্য এ্যাট্রাকশনস ইন্ডাস্ট্রি-এর মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১৫.৫ মিলিয়ন মানুষে মাত্র একজনের রোলার কোস্টার দুর্ঘনার শিকার হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
- সূত্র: দ্য ইনসাইডার