হারানো তোতা খুঁজে পাওয়ার খুশিতে পুরস্কার দিলেন এক হাজার ৬৫ ডলার
বাড়ির দরজা খোলা পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল রুস্তমা। পাঁচ দিনের দীর্ঘ বিরহের পর তাকে খুঁজে পেয়ে সঙ্গী রিও'র আনন্দের যেন সীমা নেই। খুশির চোটে রুস্তমার গালে হালকা করে চুমু খেয়ে বসল সে।
রুস্তমা আর রিও আফ্রিকান ধূসর তোতাপাখি। কর্ণাটকের এক পরিবারে সঙ্গে থাকত তারা। রুস্তমা হারিয়ে যাওয়ার পর কেউ তাকে ফিরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার রুপি পুরস্কারের ঘোষণা করে ওই পরিবার।
অবশেষে পাঁচদিন পর রুস্তমাকে খুঁজে পাওয়ার পর উদ্ধারকারীকে ৮৫ হাজার রুপি (১০৬৫ ডলার) পুরস্কার দিয়েছে ওই পরিবার। তিন বছর আগে তোতাজোড়াকে ব্যাঙ্গালোর থেকে কিনেছিলেন শেটি পরিবার।
ভারতে আফ্রিকান ধূসর তোতা পোষায় আইনি কোনো বাধা নেই। কিন্তু দেশটির পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা বিদেশি পাখি আনা ও বংশবৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য প্রায়ই পরামর্শ দেন।
পরিবারের সদস্য ও ব্যবসায়ী অর্জুন শেটি বলেন, 'আমরা পাখিগুলোকে সবসময় নিজেদের পরিবারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছি, তাই তাদেরকে কখনো খাঁচায় রাখিনি।'
রুস্তামা হারিয়ে যাওয়ার পর সঙ্গী রিও শোকে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। মোটা অর্থ খরচ করে পাখিটির ছবি, পুরস্কার ও পরিবারের বিস্তারিত লিখে লিফলেট ও পোস্টার ছাপিয়ে বিলি করেছিলেন অর্জুন শেটি। এছাড়া অটো-রিকশা ভাড়া করে মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিলে রুস্তমের জন্য।
হারানোর দিনই পাখিটিকে খুঁজে পান কৃষ্ণমূর্তি নামের একজন শ্রমিক। তিনি পাখিটিকে শ্রীনিবাস নামের আরেক শ্রমিকের জিম্মায় রেখে যান। পরে এ দুজনের চোখে হারানো বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে। তারপরই শেটি পরিবারে সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা।
রুস্তমার এই হঠাৎ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া এখন নতুন ভাবনার জন্ম দিয়েছে শেটি পরিবারে মনে। তারা সন্দেহ করছেন পাখিগুলো হয়তো বাড়ির চেয়ে বড় কোনো পরিবেশ যেমন চিড়িয়াখানায় আরও সুখী থাকবে।
অর্জুন শেটি জানিয়েছেন এমনটা হলে তারা পাখির সুখকেই বেশি প্রাধান্য দেবেন। 'বাচ্চারা যাতে ভালো করে, সেজন্য মা-বাবা তাদেরকে বাইরে পড়তে পাঠান। পাখিগুলো বাইরে কোথাও সুখী হলে আমরা তাদেরকে সেখানেই পাঠাব,' বলেন অর্জুন।
সূত্র: বিবিসি