এআই ছবি প্রতিযোগিতায় আসল ছবি দিয়ে পুরস্কার জিতলেন ফটোগ্রাফার, মনোনয়ন বাতিল
একটি আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্যাটাগরিতে দুটি পুরস্কার জেতে এক ছবি। দুটি পুরস্কারই ছিল এআই দিয়ে তৈরি ছবির জন্য।
কিন্তু পুরস্কার জেতা ওই ছবিটি মানুষের তোলা বলে জানা গেছে, কোনো এআই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি নয়।
এ তথ্য জানার পর অবশ্য আয়োজকেরা ছবিটিকে সেই প্রতিযোগিতার জন্য অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করে মনোনয়ন বাতিল করেছেন।
ফটোগ্রাফার মাইলস অ্যাসট্রে একটি ফ্ল্যামিঙ্গোর ছবি ওই মর্যাদাকর প্রতিযোগিতায় এআই ক্যাটাগরিতে জমা দিয়েছিলেন।
ছবিটি মাইলসকে '১৮৩৯ অ্যাওয়ার্ডস'-এ তৃতীয় পুরস্কার এনে দেয়। কিন্তু মানুষের তোলা বলে ছবিটিকে বাতিল করা হয়। মাইলস ছবিটি তুলেছেন ক্যামেরায়।
প্রাণী, স্থাপত্য, ল্যান্ডস্কেপ, মানুষ, ফটোজার্নালিজম, স্টিল লাইভ প্রভৃতি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয় ওই প্রতিযোগিতায়। ৫৫টি দেশ থেকে ফটোগ্রাফাররা এ প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন এবারের প্রতিযোগিতায়।
অ্যাসট্রে তার তোলা ফ্লেমিঙ্গোর ছবিটি জমা দিয়েছিলেন এআই গ্রুপে। উদ্দেশ্য ছিল, অ্যালগরিদমের দুনিয়ায় যে মানবসৃষ্ট শিল্পের প্রভাব ফুরিয়ে যায়নি, তা প্রমাণ করা।
নন-এআই বিভাগ বা মানুষের তোলা ছবির জন্য ছবির সঙ্গে তার প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্যও জমা দিতে হয়। ছবির প্রকৃত ফাইল ও ছবিটি একজন মানুষই তুলেছেন, এর প্রমাণ দিতে হয়।
কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় এআই বিভাগে ছবি জমা দেওয়ার জন্য প্রমাণ হিসেবে এমন কোনো তথ্য দিতে হয় না। নিয়মের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই নিজের তোলা ছবি এআই বিভাগে জমা দিয়েছেন মাইলস।
অ্যাসট্রে তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, 'ফ্ল্যামিঙ্গোন' নামের ওই ছবিটি তিনি জমা দিয়েছিলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটের সময়ে মানুষের তোলা প্রকৃত ছবির আবেদন বোঝাতে। প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মানুষের সৃজনশীলতা যেকোনো মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিকে হারিয়ে দিতে পারে।