গুলশান-২ সড়কের মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইঅরেঞ্জের বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা
দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইঅরেঞ্জ থেকে পণ্য ডেলিভারি না পাওয়ায় গুলশান-২ গোলচক্করে অবস্থান নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় একশ জন ভুক্তভোগী গ্রাহক।
পণ্য ডেলিভারির দেরী নিয়ে ক্ষুদ্ধ আরও ১০০ জন ক্রেতা গুলশান থানার সামনে জড়ো হয়েছেন।
এদিকে পণ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করতে ইঅরেঞ্জ কর্তৃপক্ষের বাকি থাকা অর্ডার এবং সেগুলো পৌঁছে দেওয়ার নির্ধারিত দিনক্ষণ প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু তা না করে প্রতিষ্ঠানটি আরও ৪৫-৬০ দিন অতিরিক্ত সময় চায়, একারণেই ভোক্তারা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন।
দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য ইঅরেঞ্জের কর্মকর্তারা বাড়তি সময় চাইছেন বলে আশঙ্কা ক্রেতাদের। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তারা থানায় একটি মামলা দায়ের করতে চান। তবে তাদের অভিযোগ পুলিশ কোনো মামলা নিচ্ছে না। উল্টো ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, "এ বিষয়টি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কিত, এজন্যই আমরা ক্রেতাদের ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কাছে যাওয়ার কথা বলেছি। এর সমাধান তারাই দিতে পারবে।"
ইমরান নামের এক ক্রেতা ইঅরেঞ্জে সাতটি বাইক অর্ডার দেন। এজন্য অগ্রিম দিয়েছেন ৭ লাখ টাকা। এক মাস আগে বাইক ডেলিভারি পাওয়ার কথা ছিল, তবে কঠোর লকডাউনের কারণ উল্লেখ করে সে তারিখ পেছানো হয়।
এখন কোম্পানিটি নতুন করে আরও দুই মাস সময় চাওয়ায় অনেকের মতো তিনিও অসহায় বোধ করছেন।
ক্রেতাদের আরও অভিযোগ, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফই বিন মুর্তজাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করায় তারা ইঅরেঞ্জে বিনিয়োগে ভরসা পেয়েছিলেন।
কোম্পানিটির অনেক গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হয়ে মাশরাফির সাথে যোগাযোগ করার পর গত সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে এই কোম্পানির সাথে তাঁর কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান।
রায়হান নামের আরেক ক্রেতার অভিযোগ, পণ্যের ডেলিভারি নিয়ে তাঁকে গত তিন-চার মাস ধরে ঘোরানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ইঅরেঞ্জের গুলশাল অফিসে কোনো কর্মী নেই।
"আমরা শুনেছি কোম্পানি নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দিচ্ছে। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। আমরা শুধু সাবেক এমডির নাম জানতাম, কিন্তু তাঁর ব্যাপারেও আর কিছুই জানা ছিল না।"