১০৬ টাকা আন্তঃব্যাংক রেটে ১৬ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে ব্যাংক
দীর্ঘদিন পর ইন্টার ব্যাংক রেটে ডলার কেনাবেচা করছে ব্যাংকগুলো। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলো ইন্টার ব্যাংকে সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা দরে ১৬ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
একইদিনে বাংলাদেশ ফরেইন একচেঞ্জ ডিলার এ্যসোসিয়েশন (বাফেদা) এর দেওয়া রেটে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স ও এক্সপোর্ট প্রসিড অ্যানক্যাশমেন্ট করছে।
সোমবার ব্যাংকগুলোর ইন্টার ব্যাংক রেট ছিল ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা।
গতকাল সর্বোচ্চ ২ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে সিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিটি ব্যাংকের এমডি মাশরুর আরেফিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমি আনন্দিত যে আমরা আজ আন্তঃব্যাংক বাজারে ২ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছি। দুটি ছোট ব্যাংকের ডলারের অনেক প্রয়োজন ছিল। তাদের কাছে আমি ১০৫ টাকা দরে ডলার বিক্রি করেছি। যদিও আমার কেনার খরচ তারচেয়ে বেশি, আমি আসলে লাভ-ক্ষতির দিকে তাকাই না।"
"আমার অনুমান, একটি সক্রিয় আন্তঃব্যাংক বাজার রেমিটেন্স ডলারের খরচ কমিয়ে দেবে," বলেন তিনি।
গত রোববার বাফেদা ও এবিবি সিদ্ধান্ত নেয়, পাঁচ কার্যদিবসে বৈদেশিক মুদ্রার গড় মূল্য ও রপ্তানি আয়ের হিসাব করে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হবে। সব ব্যাংক একই হারে রপ্তানি আয় নগদ করবে এবং রেমিটেন্স সংগ্রহ করবে।
গত রোববার সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স কালেকশন রেট ছিল ১০৮ টাকা। রপ্তানি আয় নগদ করতে বাফেদা প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।
তবে এলসি সেটেলমেন্টের হারে কয়েকদিন পর পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
ট্রেজারি কর্মকর্তারা বলছেন, সব ব্যাংকই এলসি সেটেলমেন্টের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে ১ টাকা লাভ করছে না, কেউ কেউ সর্বোচ্চ ০.৩০-০.৫০ টাকা যোগ করছে।
সে অনুযায়ী গতকাল ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ১০৫ টাকায় এলসি নিষ্পত্তি করছে।
তবে কোনো ব্যাংকই ১০৮ টাকার বেশি রেট নেয়নি।
রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে, রপ্তানিকারকরা ডলারের বিপরীতে বাফেদা কর্তৃক নির্ধারিত ৯৯ টাকা হার পেয়েছেন।
এছাড়া এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোকে রেমিটেন্সের জন্য প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, এবিবি ও বাফেদার সিদ্ধান্তের কারণে বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসছে।
"আমাদের মূল লক্ষ্য বাজারে স্থিতিশীলতা আনা। কিছুদিনের মধ্যেই তা সম্ভব হতে পারে," বলেন তিনি।
এদিকে ব্যাংকগুলো ইন্টার ব্যাংক রেটে লেনদেন করলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের রেট অভিন্ন রয়ে গেছে। মঙ্গলবারও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারি আমদানির জন্য ৯৬ টাকা দরে ডলার বিক্রি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি আমদানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য মঙ্গলবার ৯৬ টাকায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "এখন ব্যাংকগুলোর ডলারের রেট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাইটে আপলোড হবে তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেট আপাতত ওয়েবসাইটে থাকছে না।"