আমদানি বন্ধে বেড়েছে মসলার দাম
ডলার সংকটে বিলাশপণ্য হিসেবে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে মসলার বাজারে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে গত একমাসে আমদানি নির্ভর সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে তীব্রভাবে।
আমদানিতে ডলার সংস্থান নিশ্চিত না হলে আসন্ন রমজানে মসলা পণ্যের বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশঙ্কা করছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি না থাকায় বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আগে কখনও মসলার দাম এবারের মতো এত বেশি বাড়তে দেখা যায়নি দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের এই বাজারে। ফলে অনেক অভিজ্ঞ ব্যাবসায়ীরাও বাজারের পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারছেন না।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন জানান, খাতুনগঞ্জকে ঘিরেই দেশের আমদানিকৃত মসলার ৭০ শতাংশ বিকিকিনি হয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরে গত চারমাসে প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে মসলা আমদানি।
খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক মো. সেকান্দার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিয়ে জটিলতা চলছে। ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতার কারণে মসলা আমদানির খরচ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে আমদানি কমেছে।"
"ঋণপত্র খোলার ব্যাপারে ব্যাংকগুলো এখনই সহযোগিতা না করলে আগামী রমজান ও ঈদুল ফিতরে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে," যোগ করেন মো. সেকেন্দার।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স এমআই ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী আরিফ মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, "আমদানির হার অনেক কমে যাওয়ায় ধাক্কা লেগেছে দৈনিক সরবরাহে। নতুন এলসি খুলতে না পারায় রমজানকে সামনে রেখে অনেক ব্যবসায়ী বাজার থেকে বাড়তি দামে পণ্য কিনছেন, এতে সংকট আরও গভীর হচ্ছে।"
এদিকে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রমজানে নিত্যপণ্যের আমদানি এলসি সহজ করার নির্দেশ দিলেও তাতে আস্থা রাখতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক মো. সেকান্দার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "রমজানে পণ্য পেতে হলে এখনি এলসি খুলতে হবে। কিন্তু ব্যাংকগুলো সবাইকে সে সুযোগ দিচ্ছে না। তাদের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক ভালো বা বড় মার্চেন্ট তারাই আমদানির সুবিধা নিয়ে বাজারে একচেটিয়া মুনাফা করছে। আগামীতেও এই পরিস্থিতি উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।"