কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কমলেও ‘৩০ মিলিয়ন-টিইইউ ক্লাবে’ বছর শেষ করল চট্টগ্রাম বন্দর
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২২ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কমেছে প্রায় ৭৪ হাজার ৫০০ টিইইউ (টুয়েন্টি ফুট ইকুয়েভিলেন্ট ইউনিট)। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, বিলাস জাতীয় পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি, বৈশ্বিক বাণিজ্যে মন্দার কারণে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কমেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা।
তবে ২০২২ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কমলেও চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডেলিং বেড়েছে ৩.১০ শতাংশ । ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ এসেছে ৪ হাজার ৩৪৪ টি। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২০৯ টি।
২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুর আইসিডি (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) এবং পানগাঁও আইসিটি (ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল) তে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণসহ মোট ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪৭ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক টিবিএসকে বলেন, "ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা, এবং বিলাসজাতীয় পণ্য আমদানিতে সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে আমদানি কমেছে। সেজন্য কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণও গত বছরের তুলনায় কমেছে। একই অবস্থা পৃথিবীর অন্যান্য বন্দরেও।"
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো 'ত্রিশ মিলিয়ন-টিইইউ ক্লাব'-এ প্রবেশ করে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে কোভিড মহামারির ধাক্কায় পরের বছর এ অর্জন ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর প্রায় ২৮ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে।
২০১৯ সালে লন্ডন ভিত্তিক লয়েডসের বিশ্বের ১০০ বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৫৮তম থাকলেও হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ কমে আসায় ২০২০ সালে ওই তালিকায় ৬৭তমতে নেমে আসে বন্দরের অবস্থান।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭১ টিইইউ বাড়লে বন্দরের অবস্থান উন্নতি হয় ৪ ধাপ। অর্থাৎ, ২০২১ সালে বন্দরের অবস্থান হয় ৬৩ তম।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম টিবিএসকে বলেন, "চাহিদা অনুযায়ী এলসি দিতে পারছেনা ব্যাংকগুলো। ফলে আমদানির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে।"
বছরে প্রায় ৪ হাজার জাহাজ হ্যান্ডেল করে চট্টগ্রাম বন্দর; দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশই হয় এই বন্দর দিয়ে।