হুন্ডিতে লেনদেন বাড়ায় মে মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ১০ শতাংশ
মে মাসে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় ১০.২৭ শতাংশ কমে গেছে। প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার জন্য ডলারের দুর্বল মূল্য এবং হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন ব্যাংকাররা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসীরা মে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে পাঠিয়েছেন ১.৬৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পছন্দ করেন। খোলাবাজারের তুলনায় ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম কম দেওয়া হয় বলে প্রবাসীরা হুন্ডিতে বেশি টাকা পাঠান বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।
ব্যাংকাররা বলছেন, হুন্ডিতে পাঠানো ডলারের দাম পাওয়া যায় বেশি। এ কারণে কমছে আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে ডলার আসা।
মার্চ মাসে দেশে ২.০২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার। গত মার্চে ২.০২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে আসে, যা ছিল ফেব্রুয়ারির আয়ের চেয়ে ৪৬ কোটি ডলার বেশি। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৫৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে জানুয়ারিতে ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৪১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯.১৯ বিলিয়ন ডলার।
ফলে এই সময়ে রেমিট্যান্স আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.১৩ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।